আশজাদ রসুল সিরাজী, গাজীপুর : গাজীপুরের মহিলা, শিশু ও কিশোরী হেফাজতিদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্রের তৃতীয় তলার  টয়লেট থেকে এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১০ আগষ্ট) সকালে বাসন থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত মোছা. মিতু (২১), শ্রীপুর থানার ধর্ষণ ঘটনার ভিক্টিম। তিনি একজন বাক প্রতিবন্ধী ছিলেন। তার পিতা-মাতার নামসহ বিস্তারিত ঠিকানা জানা যায়নি।

গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাসের পাশে অবস্থিত মহিলা, শিশু ও কিশোরী হেফাজতিদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্রের সুপার পারভিন আক্তার জানান, বুধবার ভোরে হেফাজতিদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্রের তৃতীয় তলার টয়লেটে একটি রডের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মিতুর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় কেন্দ্রের অন্য নিবাসীরা। তারা অফিসের লোকজনকে খবর দেয়। পরে বাসন থানা পুলিশকে খবর দেয়া হলে পুলিশ মিতুর ঝুলন্ত লাশটি উদ্ধার করে এবং তা ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এর আগেও মিতু একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তবে কি কারণে মিতু ফাঁস নিয়ে এবার আত্মহত্যা করেছে তা জানা যায়নি। ইতোপূর্বে মিতু কোনবাড়ি শিশু (বালিকা) উন্নয়ন হেফাজত কেন্দ্রে ছিল। সেখান থেকে তাকে এ বছরের ১মার্চ এ হেফাজত কন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হয়। শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলার ভিক্টিম ছিলেন ওই মিতু। বুধবার সকালে টয়লেটের ভেতরে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ সাক্ষীদের উপস্থিতিতে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছে।

বাসন থানার এসআই মোহাম্মদ আলী জানান, গাজীপুরেরে শ্রীপুর থানার ধর্ষণের ঘটনার একটি মামলার ভিক্টিম হলো মিতু। মিতু একজন বাক প্রতিবন্ধী, কথা বলতে পারেনা। ইশারা-ঈঙ্গিতে মিতু কথা বলতো। পরে হাসপাতালের মর্গে ভিক্টিমের ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেখানে তার লাশের ময়না তদন্ত করা হয়েছে। এসময় তার গলায় ফাঁস নেয়ার আলামত ছিল। বুধবার সকালে মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার মো. জাকির হাসান, বাসন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনার বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

(এআরএস/এএস/আগস্ট ১০, ২০২২)