সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : গােপন বৈঠকে সহিংসতার প্রস্তুতিকালে ছাত্র শিবির ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। একে এক শিবির নেতা নিহত ও সাত কর্মী জখম হয়েছে। ছাত্রশিবিরের হামলায় জখম হয়েছে পাঁচ পুলিশ সদস্য। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দু’টি পিস্তল উদ্ধার করেছে। রোববার বিকেল পৌনে চারটার দিকে সাতক্ষীরা শহরের কামাননগরের গোরস্থান সংলগ্ন মহিউল আলম মুকুলের বাড়িতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত আমিনুর ইসলাম (২৬) সাতক্ষীরা শহর শিবিরের সাধারণ সম্পাদক ও কালীগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মফিজউদ্দীন সরদারের ছেলে।
গুলিবিদ্ধ শিবির কর্মীরা হলেন- সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা গ্রামের সাহাদাত হোসেনের ছেলে নুর মোহাম্মদ(২৫), তালা উপজেলার খলিষখালীর আব্দুল হকের ছেলে আব্দুস সুবুর(২৬), খুলনা শহরের শাহাজানের ছেলে আক্তার হোসেন(২৬), শ্যামনগরের মাহবুবের ছেলে ইমরান হোসেন(১৮), খুলনার ফুলতলার আব্দুস সাত্তারের ছেলে আজিজুল ইসলাম(২৩) ও আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর গ্রামের আবু বক্করের ছেলে আবু তালেব(২০) ও আব্দুল গফুর(২২) ।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- সিপাহী আব্দুর রহমান, সিপাহী নুরুল ইসলাম, সিপাহী জাহাঙ্গীর হোসেন, সিপাহী আবেদুর রহমান ও সিপাহী জিল্লুর রহমান।


সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইনামুল হক জানান, রোববার বিকেল পৌনে চারটার দিকে কামালনগরের মহিউল আলম মুকুলের বাড়িতে নতুন করে সহিংসতা সৃষ্টির জন্য ছাত্র শিবিরের নেতা কর্মীরা গোপন বৈঠক করছে বলে তিনি খবর পান। এরই ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় শিবিরের নেতা-কর্মীরা পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ২০/২৫টি হাত বোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে শতাধিক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ৭৩ রাউ- গুলি করলে আটজন জন গুলিবিদ্ধ হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরিমল বিশ্বাস পৌর ছাত্র শিবিরের সাধারন সম্পাদক আমিনুল ইসলামকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এ ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দেওয়া হবে।


জেলা জামায়াতের প্রাচার সম্পাদক আজিজুর রহমান জানান, তারা কয়েক মাস ধরে মেসে থেকে পড়াশুনা করে। তারা প্রতিদিনের ন্যায় দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে ছিল। হঠাৎ পুলিশ যেয়ে তাদের ধরে চোখ বেঁধে পায়ে গুলি করে। এবং আমিনুরকে বুকে গুলি করলে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়।

(আরকে/অ/এপ্রিল ২৭, ২০১৪)