রবিউল ইসলাম, গাইবান্ধা : পলাশবাড়ীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বিতরণে অনিয়ম। অসহায় ও দরিদ্ররা বঞ্চিত, রহস্য কোথায়। উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নে সাতআনা নওদা ও বাহিরডাঙ্গা গ্রামে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বিতরণে উৎকোচ গ্রহণে একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি এবং জমি ও ঘর থাকা ব্যক্তিদের নামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর প্রদান করা হয়েছে। অথচ ভিক্ষুক ও জমির অভাবে কবরস্থানে এবং অন্যের বাড়ীতে বসবাসকারী অনেকেই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

এলাকাবাসী জানায়, ১ম পর্যায়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান এবং তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরেজমিনে পরিদর্শন সাপেক্ষে যে সকল লোকগুলো যাচাই-বাছাই করেছেন সেই সকল ব্যক্তিগুলো প্রকৃত ভূমিহীন ও পাওয়ার উপযোগী। পরবর্তীতে উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার ইব্রাহিম খলিল বিভিন্ন এলাকায় কতিপয় অসাদু ব্যক্তির সাথে যোগসাযোগে উৎকোচ গ্রহণের মাধ্যমে প্রকৃত ভূমিহীন ও দরিদ্র ব্যক্তিদের নামে ঘর বরাদ্দ না দিয়ে জমি ও ঘর থাকা ব্যক্তিদের নামে ঘর বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।

তারা আরও জানান, প্রত্যেকের নিকট থেকে সার্ভেয়ার ইব্রাহিম খলিল তার লোক মারফতে ১০-২০ হাজার করে টাকা গ্রহণও করেছে এবং তাদেরকে হুমকির মুখে রাখা হয়েছে যে, টাকা প্রদানের কথা কাউকে বললে ঘরও বাতিল হবে টাকাও ফেরৎ দেওয়া হবেনা।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, হোসেনপুর ইউনিয়নের সাতআনা নওদা গ্রামের আলিমুদ্দিন এর পুত্র শহিদুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলামের পুত্র শরিফুল ইসলাম দুইজনকেই ঘর প্রদান করা হয়েছে। অথচ তাদের জমি ও ঘর রয়েছে। একই গ্রামের মোঃ আঃ রহমানের কন্যা মালেকা বেগমের জমি ও বাড়ী থাকা সর্ত্বেও তাকে ঘর প্রদান করা হয়েছে। সচেতনমহল জানান, সঠিকভাবে তদন্ত হলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।

(আর/এসপি/আগস্ট ১৪, ২০২২)