মাহবুবুর রহমান, ঝালকাঠি : সুগন্ধা নদীতে অর্ধশত মানুষকে জীবন্ত পুড়ে মারা ঘাতক এমবি অভিযান-১০ লঞ্চটি শনিবার বিকেলে ঝালকাঠি ত্যাগ করেছে। ঢাকা-বরগুনা রুটে চলাচলকারী লঞ্চটির মালিক হাম জালাল শেখের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাংলাদেশ নৌ আদালতে মালিক পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে মেরামতের জন্য হস্তান্তরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঝালকাঠি থানার এসআই নজরুল ইসলাম লঞ্চটির জিম্মাদার হিসাবে শহরের ডিসি পার্ক সংলগ্ন সুগন্ধা নদীর পাড়ে আটক করে রাখে।

পরে সেখান থেকে হৃদয়বিদারক স্মৃতিবাহী অভিযান-১০ টিকে মালিক পক্ষের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। তবে ঝালকাঠির নলছিটির দপদপিয়া পুরাতন ফেরীঘাট সংলগ্ন নিজাম শিপিং ডকইয়ার্র্ডে মেরামত ও পুন:নির্মান করা হবে বলে মালিক হাম জালাল শেখ জানিয়েছে।

ঝালকাঠি থানার এসআই নজরুল ইসলাম জানায়, মালিকের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৪ জুলাই নৌ আদালত লঞ্চটি মালিক পক্ষের কাছে হস্তান্তরের আদেশ দেন। গত ২৬ জুলাই থানায় ওই আদেশের কপি এসে পৌছলে ১৩ আগষ্ট শনিবার লঞ্চের মালিক ঝালকাঠি আসেন। থানা পুলিশ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র দেখে আনুষ্ঠানিকতা সেরে মালিকের জিম্মায় লঞ্চটি অবমুক্ত করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে এসে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমবি অভিযান-১০ লঞ্চটিতে আগুন লাগে। মূহূর্তেই পুরো লঞ্চে আগুন ছড়িয়ে পরলে অসংখ্য লোক অগ্নিদ্বগ্ধ হয়ে হতাহত হয়। অগ্নিদূর্ঘটনার পর প্রায় এক সপ্তাহ সুগন্ধা-বিষখালী নদীতে উদ্ধারাভিযান চালিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত ৪৭ জনের লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

স্থানীয় রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি লঞ্চ ডুবির ঘটনায় নিখোজ ৫১জনের মোবাইল নাম্বার সহ তালিকা প্রকাশ করলেও পুলিশ ৪০ জন নিখোজের কথা স্বীকার করে। পরবর্তীতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ঝালকাঠি থানায় দায়েরকৃত দুটি মামলায় পোড়া লঞ্চটিকে জব্দ দেখিয়েছে থানা পুলিশ আটক রাখে।

(এম/এসপি/আগস্ট ১৪, ২০২২)