কক্সবাজার প্রতিনিধি : ঈদ, পূজো ও পূর্ণিমার টানা ৪ দিনের ছুটিতে পর্যটন শহর কক্সবাজারে নেমেছে দেশি-বিদেশি পর্যটকের ঢল। পর্যটক ও স্থানীয়দের উচ্ছ্বাস রাঙিয়ে তুলেছে কক্সবাজারকে।

হতাশাকে কাটিয়ে আনন্দের ঈদকে কেন্দ্র করে পুরোদমে নব উদ্যমে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প। টানা ছুটিতে আনন্দের দিনগুলোকে স্মৃতির পাতায় স্মরণীয় করে রাখতে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে দর্শনীয় পর্যটন স্পটগুলো।

হোটেল-মোটেলে কক্ষ ভাড়ায় বিশেষ ছাড় থাকায় ব্যাপক পর্যটক সমাগম হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল এবং হরতাল-অবরোধ না থাকায় সামনের দিনে দেশি পর্যটকের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকের সমাগম বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন পর্যটন শিল্প নির্ভর ব্যবসায়ীরা।

এদিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিমা বির্সজনের আগে থেকে পর্যটকদের আগমনকে কেন্দ্র করে অপরূপ সাজে সাজানো হয়েছে দর্শনীয় পর্যটন স্পটগুলোকে। তাছাড়া ঈদ, পূজোর টানা ছুটিকে কেন্দ্র করে মাস খানেক আগে থেকেই অধিকাংশ হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস ও রেস্ট হাউস গুলোর রুম বুকিং হয়ে যায় বলে জানা গেছে।

প্রতিবছর এ সময় বিপুল পরিমাণ লোক সমাগম ঘটে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের বালুকাবেলায়। রজততটে দাঁড়িয়ে বিকেলের সূর্যাস্ত দেখতে একই সাথে হাজার হাজার লোকের সমাগম ঘটে। সমুদ্র সৈকত যেন হয়ে ওঠে নারী-পুরুষের মহামিলনের উৎসবস্থল।

পর্যটকদের পদারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে বিখ্যাত পর্যটন স্পট দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনও। সেখানেও হাজার হাজার পর্যটকের ভিড় শুরু হয়েছে। টানা ছুটিতে কক্সবাজার শহর, কলাতলী, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন, ইনানীসহ বিভিন্ন স্থানের কয়েকশ হোটেল মোটেল, রেস্টহাউজ, গেস্টহাউজ কোথাও সীট খালী নেই। দুজনের রুমে রাত্রী যাপন করছে ৪ জন। এভাবেই পর্যটকদের ভিড়ে সর্বত্রই এখন দারুণ প্রাণ চাঞ্চল্য। ঝিমিয়ে পড়া পর্যটন শিল্প যেন হঠাৎ উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে।

আর ব্যবসায়ীদের মাঝে আনন্দের পাশাপাশি কক্সবাজারে ছুটে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ঠকানোর প্রবণতা। পর্যটকদের নিরাপত্তায় এবার সংযোজন করা হয়েছে অতিরিক্ত ট্যুরিস্ট পুলিশের।

পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ জানান, পর্যটকদেরকে ছিনতাই, হয়রানী থেকে রক্ষা ও নিরাপত্তা বিধানে পুলিশের একাধিক টহল টিমের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ ও প্রশাসন কাজ করছে।

(ওএস/অ/অক্টোবর ০৮, ২০১৪)