আবুল কাশেম রুমন, সিলেট : সিলেটের বিয়ানীবাজারে ৮ মাসে ১৪টি আত্মহত্যার ঘটনায় প্রশাসন ও সচেতন মহলকে উদগ্নি করে তুলেছে। বার-বার বিয়ানীবাজার বিয়ানীবাজার থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে উপজেলা জুড়ে আত্মহত্যার প্রবণতা।

বিয়ানীবাজার থানা সূত্রে জানা যায়, রবিবার (১৪ আগষ্ট) দুপুরে অজ্ঞাত পরিচয় এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সিলেট-বিয়ানীবাজার সড়কের খশির সংড়ক ভাংনী এলাকা থেকে ওই মধ্যবয়সী নারীর মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। তার শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন নেই বলে জানিয়েছেন বিয়ানীবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ওই নারীর নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

১৩ আগস্ট (শনিবার) রাতের আধারে ১২ বছরের এক শিশু নানা বাড়িতে আত্মহনন করে। ৯ আগস্ট (মঙ্গলবার) উপজেলার মাথিউরা থেকে ২৩ বছরের আদনা হোসেন নামের এক মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ।

এ বছরে জুলাই মাসে ২৩ বছর বয়সী বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী হাজেরা বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর কয়েক দিন পূর্বে পৌরশহরের নয়া গ্রামে মোহাম্মদ আলী নামে মাত্র ১৮ বছরের আরেক তরুণ গলায় ফাঁস দিয়ে জীবনের অবসান ঘটান। এর আগের নতুন বউয়ের মুখ দেখে এসে পৌরশহরের শ্রীধরা এলাকার ইয়াসমিন শাওন নামে আরেক কলেজ শিক্ষার্থী আত্মহনন করেন। গত জুনে ঝুলন্ত অবস্থায় এক আওয়ামীলীগ নেতার সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছেলের লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রত্যেকটি অস্বাভাবিক মৃত্যু সামাজিক শৃঙ্খলায় আঘাত হিসাবে দেখা হচ্ছে। সচেতন মহল বলছেন, এসব অস্বাভাবিক মৃত্যুর পেছনে রয়েছে সমাজের অবক্ষয়।

(একেআর/এএস/আগস্ট ১৭, ২০২২)