দীপক চন্দ্র পাল, ধামরাই : ধামরাই উপজেলার নান্নার কান্দাকাওয়ালী এলাকার সড়কের পাশের ঝোপ থেকে বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশের সোর্স আমিরুল (৩০)নামের এক ব্যক্তির ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে ধামরাই থানার পুলিশ।

তার দেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। লাশ উদ্ধারের পর পুলিশের এসআই রাসেল ফকির সোরতহাল রির্পোট করে ময়না তদন্ত শেষ করেন।

পরে রাতেই ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা সোরওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠিয়েছে বলে জানান এসআই বিলায়েত হোসেন পিপিএম। এ ঘটনায় বুধবার রাতেই নিহত আমিরুলের মা আমেনা বেগম বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি খুনের মামলা দায়ের করেছেন।মামলা নং-১৯(৮)২২ তারিখ ১৭/০৮/২০২২ ইং। এ ঘটনায় পটল নামের এক ভ্যান চালককে স্বাক্ষী হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।

নিহত আমিরুল ইসলাম সাভারের গেন্ডা টিয়াবাড়ি এলাকার ইব্রাহিম হোসেনর ছেলে।সে সাভার থেকে ডিবি ও পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতো বলে জানা গেছে।

নিহত পরিবারের ও স্বজনদের অভিযোগ মঙ্গলবার দিন আমিরুল ইসলামকে সাভার থেকে তার স্ত্রী শিল্পী বেগম ধামরাইয়ে ডেকে আনেন।এরপর ধামরাইয়ের নন্নার কান্দাকাওয়ালী রোহিঙ্গা মাকেট এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে স্ত্রী শিল্পী বেগম ও তার সাথের লোকজনরা আমিরুলের কাছ থেকে জোরপুর্বক তালাক নামায় স্বাক্ষর নেবার পর স্বামীকে হত্যা করে লাশ সড়কের পাশে জঙ্গলে ফেলে রেখে খুনিরা পালিয়ে যায়।

নিহতের মামা হায়দার আলী জানান আমিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে সাভারে ডিবি পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করছে।কয়েক বছর আগে সাভারে ক্রস ফায়ারে নিহত মুন্নাফের স্ত্রী শিল্পী বেগমকে বিয়ে বরেন আমিরুল ইসলাম। এর পর থেকে শিল্পী বেগম ধামরাই উপজেলার নান্নার কান্দাকাওয়ালী রোহিঙ্গা মার্কেট এলাকায় ভাড়া থেকে মাদক ব্যবসা করছে। এই মাদক ব্যবসা নিয়ে কিছু দিন ধরে স্ত্রী শিল্পীর সাথে স্বামী আমিরুলের সাথে ঝগড়া বিবাদ লেগে আছে। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার দুপুরে শিল্পী তার স্বামী আমিরুল কে সাভার থেকে ধামরাই ডেকে আনে। সেখান থেকে রোহিঙ্গা মার্কেট এলাকায় নিয়ে য়ায়।সেখানে শিল্পী ও তা বোনের ছেলে আকু মিয়া ও তার ছেলে জাফর আলীসহ কয়েকজন মিলে স্বামী আমিরুলকে তালাক দেবার জন্য বেধড়ক পেটায়। তালাক নামায় স্বাক্ষর নেবার পর সেখান থেকে আমিরুল কৌশলে পালিয়ে যেতে একটি ভ্যানে উঠে পড়ে। পালানোর চেষ্টা কালে পথি স্ত্রী শিল্পীর লোক জনরা দ্বিতীয় দফায় হামলা করে পেটায়ও হত্যা করে। তিনি আরও বলেন মঙ্গলবার রাত থেকেই আমিরুলের মোবাইল ফোনটি বন্ধ পান । পর দিন ধামরাইয়ের কান্দাকাওয়ালী গ্রামের সড়কের পাশ থেকে আমিরুলের ক্ষত বিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ সনাক্ত করেন ।

সংবাদ পেয়ে ধামরাই থানার পুলিশের এসআই রাসেল ফকির ঘটনাস্থল নান্নার কান্দাকাওয়ালী গ্রামে সড়কের পাশে ঝোপ থেকে লাশ উদ্ধার করেন।

তিনি বলেন আমিরুলের দেহে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় স্বাক্ষী হিসেবে ভ্যান চালক পটল মিয়াকে থানায় আনা হয়েছে বলেন। তিনি বলেন আমিরুল ডিবি পুলিশের সোর্স ছিল বলে শুনেছি।

এ ঘটনায় ধামরাই থানায় আমিরুলের মা আমেনা বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

এ মামলার আইও বিলায়েত হোসেন বলেন অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে। অপরাধীরা পলাতক আছে তাদের ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।

(ডিসিপি/এএস/আগস্ট ১৮, ২০২২)