স্টাফ রিপোর্টার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন অনেক সময় নিজের অজান্তেই সত্য কথা বলে বসেন বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘বেহেশতে’ থেকে তো আর মিথ্যা কথা বলা যায় না তাই সত্যটাই বলে দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

(‘ভারতে গিয়ে বলেছি, এই সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে’)- পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বললেন।

এর আগে ‘বৈশ্বিক মন্দায় অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা বেহেশতে আছি’ এমন বক্তব্য দিয়ে বেশ আলোচনায় এসেছিলেন মন্ত্রী। এবার বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে।’

এ প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, মন্ত্রীর কথা দেশের প্রত্যেক গণমাধ্যমে এসেছে। তার মানে কি জনগণের সমর্থন নেই? এই কথাটাই তো সত্য প্রমাণিত হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনেক সময় তার অজান্তেই সত্য কথা বলে বসেন। বর্তমান সরকার সম্পর্কে বিএনপি এবং দেশের মানুষের যে ধারণা সেটাই প্রমাণ করছেন মন্ত্রীরা। বেহেশত থেকে তো আর মিথ্যা বলা যায় না, তাই সত্যটাই বলে দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, আজকে দেশে গুম-খুনের রাজত্ব চলছে। মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই। কিন্তু এগুলো নিয়ে কর্ণপাত করে না সরকার। জনগণের ভিত্তির ওপর তো তারা দাঁড়িয়ে নেই। তারা দাঁড়িয়ে থাকতে চায় অন্যের শক্তির ওপর দিয়ে। সরকার যে দড়িটা ধরে আছে সেটা জনগণের দড়ি নয়, রশিটা হচ্ছে বাইরের। আজকে প্রকাশ্যে সেটা প্রকাশ করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আমরা জনগণকে বিশ্বাস করি, জনগণকে আমরা মনে করি সব ক্ষমতার উৎস, যেটা আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বলে গেছেন। আমাদের দড়ি অন্য কোথাও নেই।

দেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করে অন্যের শক্তির ওপর দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকিয়ে থাকতে চায় বলে উল্লেখ করেন রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, সরকারে গঠনের প্রশ্নে আমরা সবসময় জনগণের শক্তির ওপর সাহস করেই কথা বলি। সরকার সব কিছু হারিয়েছে, তারা জনগণকে ত্যাজ্য করেছে বলেই অন্যের কাছে যাচ্ছে তাদের টিকিয়ে রাখার জন্য। দেশের মানুষের কাছে যাওয়ার তো তাদের মুখ নেই, কারণ তারা ভোটকে কবর দিয়েছে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি গোলাম সরোওয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন আলী ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ প্রমুখ।

(ওএস/এএস/আগস্ট ১৯, ২০২২)