বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটে বসত বাড়ী দখল নিতে  শুক্রবার ভোররাতে সুশান্ত দাস (৩৮) নামে এক শিক্ষকের বাড়িতে হামলা ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। বাগেরহাট সদর উপজেলার ফুলতলা গ্রামে এই হামলা চলাকালে জীবন বাঁচাতে ওই শিক্ষক জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করেন। এসময়ে আক্রান্ত ওই শিক্ষক পরিবারের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে হামলাকারীদের মধ্যে ১২ জনকে আটক করে রাখে। জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন পেয়ে বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ১২ জনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আছাদুজ্জামান ওরফে টিপু হাওলাদার (৪৫), বেনজীর আহমেদ (৪৯), ফেরদাউস হাওলাদার (৩৩), নুর নবী (২১), হাফিজ হাওলাদার (৪০), আবু হানিফ খান (৩৬), মো. সাকিব ফকির (২০), সাফায়েত মোল্লা (৪১), মাহতাব খান (২৩), আব্দুল গাফফার শেখ (৪৪), মোতালেব খান (৬০), শামীম শেখ (১৯)। আসামীদের বাড়ি বাগেরহাট সদর ও কচুয়া ও উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।

এদিকে হামলাকারীদের মারটিটে আহত শিক্ষক সুশান্ত দাস, তার সন্তান সম্ভাবা স্ত্রী কনিকা দাসকে (২৮) বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিক্ষক সুশান্ত দাসের ভাই আহত বিশ্বজিত দাস ও শুকদেব দাস, নিকট আত্মীয় রিংকি দাস হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

আহত শিক্ষক সুশান্ত দাস জানান, আমরা বসত বাড়ির জমি নিয়ে আছাদুজ্জামান ওরফে টিপু হাওলাদারের সাথে আদালতে মামলা রয়েছে। এই অবস্থায় আমাদের বাড়ী থেকে উচ্ছেদের শুক্রবার ভোররাতে হঠাৎ করে আছাদুজ্জামান ওরফে টিপু হাওলাদারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আমাদের উপর হামলা করে। তাদের হামলায় আমি, আমার স্ত্রীসহ পাঁচ জন আহত হয়েছি। তখন সাহয্য চেয়ে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করি। এসময়ে আমাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে হামলাকারীদের মধ্যে ১২ জনকে আটক করে রাখে। কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ গিয়ে আটক ১২ জনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। আমি নিজে বাদী হয়ে ওই গ্রেফতার ১২জনসহ অজ্ঞাত ৮ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছি।

বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন পেয়ে ১২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শিক্ষক সুশান্ত দাস বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃক ১২জনসহ অজ্ঞাত আরো ৮ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতারকৃতদের দুপুরে আদালতে পাঠালে বিচারক তাদের কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন। অন্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

(এসএকে/এএস/আগস্ট ১৯, ২০২২)