স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকায় বহুল আলোচিত ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম এগ্রিমেন্ট (টিকফা) চুক্তির প্রথম বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এ ধারাবহিকতায় বাংলাদেশ দেশটির বাজারে পণ্য রপ্তানিতে এই সুবিধা পাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে 'ঢাকায় দুই দিনব্যাপী শুরু হওয়া টিকফা বৈঠক এর প্রথম দিনে যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসটিআর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য দেন এবং তার এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, 'প্রারম্ভিক বৈঠকে দুটি বিষয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা ছাড়াও জেএসপি নিয়ে কথা হয়েছে। আমি খোলামেলা বলেছি আমরা কী চাই। তারাও বলেছেন, তারা কী দিতে পারেন। এছাড়াও রানা প্লাজার বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে।'

টিকফা চুক্তি প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, '২০০২ সাল থেকে টিকফা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর টিকফা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে এবং এটি কার্যকর হয়েছে ৩০ জানুয়ারি থেকে।'

মন্ত্রী আরও বলেন, টিকফা নিয়ে আজকের প্রথম বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। বৈঠকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা চেয়েছি। কারণ আমাদের এ দাবি ন্যায়সঙ্গত। সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রথম মিনিস্ট্রিয়াল বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও একই দাবি তুলেছিলাম।

বৈঠকে মন্ত্রী জানান, শুল্কহারের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শুল্ক দেয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশি পণ্যের বিপরীতে গড়ে ১৬ শতাংশ হারে শুল্ক পায় যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা এ শুল্ক দিলেও এটা না থাকলে বাংলাদেশি পণ্যের দাম আরও কম হতো। এতে বাংলাদেশি পণ্য বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম হবে এবং আমাদের রপ্তানিও বাড়বে।

(ওএস/এটি/এপ্রিল ২৭, ২০১৪)