রণেশ মৈত্র


১৫ আগষ্ট বাঙালি জাতির জন্য সর্বাধিক শোকাবহ, বেদনাক্রান্ত একটি দিন। ১৯৭৫ সালে মর্মান্তিক হত্যালীলায় আমরা হারিয়েছিলাম আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও তাঁর পরিবারের প্রায় সকল সদস্যকেই। সেই আঘাতের বক্তক্ষরণ আজও থামে নি থামতে পারে যদি কোন দিন বঙ্গবন্ধু হত্যার জাতীয় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র নির্মোহভাবে উদ্ঘাটিত হয় এবং সকল ষড়যন্ত্রকারীকে বিচার করে তাদের প্রাপ্য শাস্তি দেওয়া হয়। যেহেতু দীর্ঘ ৪৭ টি বছরেও এ ব্যাপারে আমাদের রাষ্ট্র কোন কাজই শুরু করে নি-তাই উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ কাজটি আদৌ কোনদিন হবে-এমন বিশ্বাস খুব একটা আস্থার সাথে করার যাচ্ছে না। 

যা হোক ১৫ আগষ্টের অতীত ইতিহাস ঘাঁটা আজকের এই নিবন্ধের উদ্দেশ্য নয়। এবারের (২০২২) ১৫ আগষ্টে সকলের মনে বিপুলভাবে ধাক্কা দেওয়া দুটি হত্যালীলা নিয়ে বাদ-বাকী লেখা একেবারে মন খুলে এবং কারও প্রতি বিন্দুমাত্র পক্ষ বা বিপক্ষ অবলম্বন না করে ঘটনার নির্মোহ বিশ্লেষণ আমার প্রিয় পাঠক-পাঠিকাদের সামনে তুলে ধরতে চাইছি।

কী ঘটেছিল চক বাজারে!

একটি জাতীয় দৈনিকে প্রথম পৃষ্ঠায় লাল রঙা ব্যানার হেডলাইনে “কে নেবে এই ১১ জীবনের দায়” শিরোনামে লিখেছেঃ
পুরান ঢাকার চকবাজারে একটি হোটেলের গ্যাস সিলি-ার বিষ্ফোরণে একই ভবনে থাকা প্লাষ্টিক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। এতে ঘুমন্ত অবস্থায় দগ্ধ হয়ে ৬ জন নিহত হয়েছেন। বিগতহ ১৫ আগষ্ট সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে চাঁদনীঘাটের দেবীদাস ঘাটের কামালবাগ এলাকায় এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। ১০টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার ব্রিগেড। আগুনে নিহতরা হলেন-স্বপন সরকার (১৯), ওসমান (২৫), বিল্লাল (১৬), মো: শরীফ (১৬), মোতালেব (১৬), মো: শরীফ (১৬) ও রুবেল (২৮)। তারা সকলেই বরিশাল হোটেলের কর্মচারী ছিলেন বলে স্বজনরা জানান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনা সম্পর্কে বলেন,প্রথমে হোটেলের সিলি-ার বিষ্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। সিলি-ার বিষ্ফোরণের পর আগুন প্রথমে বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মারে যায়। সেখানে আর এক দফা বিষ্ফোরণের পর একই ভবনের পাটাতনের উপরে থাকা প্ল্যাাষ্টিকের খেলনা তৈরীর কারখানায় আগুন লাগে। নিহরতরা রাতের শিফটে কাজ করে ভোরে ঘুমিয়ে ছিলেন হোটেলের পাটাতনের উপর।

ঐদিন বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো: শাজাহান শিকদার বলেন, বরিশাল হোটেলের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত একটি প্লাষ্টিক কারখানা ও গোডাউন থেকে ৬ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি। নিহত বিল্লালের বোন রুমা বেগম বলেন, ‘কাজে এতটাই ব্যস্ত যে কথা বলার ও সময় পেত না বিল্লাল। অনটনের সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে মাতিয়া ছিলেন তিনি। বরিশালের মুলাদি থেকে বিল্লাল স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের বাড়ীতে রেখে কাজের সন্ধানে এসেছিলেন ঢাকায়। কিন্তু তার আর বাড়ী ফেরা হলো না।

নিহত ওসমানের ভাই ইকবাল সরদার বলেন, করোনা মহামারি সুরু হওয়ার আগে কুয়েতে পাড়ি দিয়েছিলেন ওসমান। তাদের বাড়ী শরীয়তপুরের গোসাইর হাট উপজেলায়। কিছু দিন যেতে বাড়ীতে টাকা পাঠাতে সুরু করেন ওসমান। কিন্তু করোনা। মহামারি শুরু হওয়ার পর তাঁকে চাকুরী হারিয়ে দেশে ফিরে আসতে হয়। তিন ভাই, তিন বোনের মধ্যে ওসমান ছিলেন মেজ। অবশেষে বরিশাল হোটেলে চাকুরী পেলেন তিনি-বেতন দৈনিক মজুরি হিসাবে ৬০০ টাকা।
নিহত স্বপন সরকারের খুড়াতাতো ভাই বাদশাহ সরকার বলেন তিনি থাকেন যাত্রাবাড়ীতে। হোটেলের কাজ শেষ হলেই স্বপন দেখা করতে যেত ভাই এর সাথে। স্বপনের বাড়ী হবিগঞ্জের বামৈন গ্রামে। বাদশাহ জানান, স্বপন ১২টার দিকে ফোন করে জানান “আগুন লাগছে”। এর পা আর ভাই এর খবর নেই। এখন তাকে স্বপনের মরদেহ নিয়ে বাড়ী ফিরতে হবে।

সপ্তাহ তিনেক আগে বরিশাল হোটেলে যোগ দিয়েছিলেন কুমিল্লার চান্দিনার ছেলে শরীফ। কাজ করতো দৈনিক ২০০ টাকা বেতনে। পরিবারের দুঃখ মেটাতে ঢাকা এসেছিল শরীফ কাজের সন্ধানে পরিবারের অভাব-অনটন মেটাতে। কিন্তু আগুন তার স্বপ্ন কেড়ে নিল।

বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের এক অভাবি পরিবারের ছেলে মোতালেব। পরিবারে অভাব ছিল এত তীব্র যে মাত্র সাত বছর বয়সে তাকে ঘর ছাড়তে হয়েছিল জীবিকার তাগিদে। নিজ জেলায় নানা জায়গায় কাজের পর মোতালেব চলে আসে ঢাকায়। সেখানে বিভিন্ন হোটেলে কাজ করে সে। শেষে বরিশাল হোটেলে। মা মমতা বেগমকে সে সব সময় বলতো, মা চিন্তা করো না। আমি কাজ করে টাকা পাঠামু তোমার জন্যে। সেই মোতালেবের নিথর দেহ ফেরত গেল মায়ের কোলে।

গার্মেন্টসের চাকুরী হারিয়ে মেসিয়ারের কাজ পেয়েলিছ রুবেল মাদারীপুরের কালাকান উপজেলার বাঁশবাড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা মোহাম্মদ রুবেল। বীর মুক্তিযোদ্ধা সাত্তার বিল্লালের ছেলে রুবেলও বিভিন্ন গার্মেন্টসে কাজ করে করোনা মহামারিতে চাকুরী হারান। বহুদিন বেকার থাকার পর চাকুরী জোটে বরিশাল হোটেলে। চিরদিনের জন্য বিদায় নিয়ে রুবেল ফিরে গেল সুপূর গ্রামে তার প্রিয়জনদের কাছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা দেখেছেন, সরু একটা গলি কামালবাগ মহল্লায়। গলির দুই পাশেই গড়ে উঠেছে কারখানা ও কেমিক্যালের দোকান। দোকানের পেছনেই আবাসিক এলাকা। কারাখানা ও দোকানের ব্যবসায়ী-কর্মচারীরা সবাই ওই এলাকায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন। দুপুরে আগুনের ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা পাইপ ও বালতি করে জল এনে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। প্রায় দুই ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও ৬ জনের পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়া দেহ উদ্ধার করা হয়।

আগুনের উৎপত্তিস্থল এখনও নির্ভরযোগ্যভাবে নির্ধারণ করা না গেলেও যে যে বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করা যায় তা হলো পুরাতন ঢাকায় অগ্নিকা-, কেমিক্যালের দোকান ঘিঞ্জি ব্যবসা কেন্দ্র-আবাসিক এলাকা ও অসংখ্য কারখানার বিষয়টি আদৌ নতুন নয়। বিগত প্রায় ২০ বছর যাবত পুরাতন ঢাকার নানা স্থানে অবস্থানরত কেমিক্যালের দোকান ও গোডাউন থেকে বহুবার বিপুল সংখ্যক মানুষ অগ্নিকা-ের ফলে অসহায়ের মত মৃত্যুবরণ করেছেন। এমন বড় বড় ঘটনার সংখ্যা অসম্ভবত: ৫/৬টি। ছোটখাট ঘটনার কথা না হয় বাদই দেওয়া গেল।

প্রতিটি ঘটনার পর পত্র-পত্রিকায় তার নানাদিক তুলে ধরে অসংখ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। নিতান্ত স্বল্পকালের জন্য হলেও মনে হয় সরকার কঠোর ভূমিকা নিতে চলেছেন। কিন্তু কিছুদিন পইে সব হিমশীতল হয়ে যায় চাপা পড়ে যায় ঘটনা-সব কিছু অতীতের মতই স্বাভাবিক হয়ে আসে।

উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বলা হয় পুরাতন ঢাকাতে কোন কেমিক্যাল গোডাউন বা তার দোকান বা কোন দাহ্য পদার্থের দোকান-গুদাম রাখা চলবে না-সরিয়ে নিতে হবে নির্দিষ্ট এলাকায়। কিন্তু তা আর হয় না। সব যেমন ছিল তেমনই থাকে। ফিরে ফিরে আসে মৃত্যুর ক্রন্দন।

এখন প্রশ্ন ওঠে-মানুষের জীবন বাঁচাবার, কেমিক্যাল ও দাহ্য পদার্থের গুদাম বা দোকান নিরাপদ এলাকায় সরানোর যে নির্দেশ ঘটনাকালে সরকার দিয়ে থাকে তা কার্য্যকর হয় না কেন? গুদাম ও দোকান মালিকেরা সে নির্দেশ মানেন না না মানার ফলে তাদের কোন শাস্তি ও গুদাম। দোকান অপসারণের কার্য্যকর ব্যবস্থা সরকারিভাবে গ্রহণ করা হয় না কেন? তাই অবৈধ কেমিক্যাল ও দাহ্য পদার্থের গুদাম ও দোকান মালিকেরা এবং সরকার অবহেলা করার ফলেই যে কিছুকাল পরপরই এমন ঘটনা একের পর এক ঘটে চলেছে তাতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।

অবশেষে ফায়ার সার্ভিস বলেছে চকবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার আশপাশের সকল ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ। সরকার কি দেখবেন এবং তৎপর হবেন ওই এলাকার জনজীবনের নিরাপত্তা বিধানে। সমগ্র ঢাকা শহরের সকল কেমিক্যাল ও দাহ্য পদার্থের গুদাম ও দোকান অপসারণ করে মানুষের জীবনকে বিপন্মুক্ত করতে?

উত্তরার করুণ ৫ মৃত্যু : কে দায়ী?

বিষয়টির তদন্ত চলছে। উত্তরায় চলন্ত প্রাইভেট কারে গার্ডার পড়ে একই পরিবারের নিহত ৫। বিষয়টি এমনিতেই অনেক শোকাবহ। আরও শোকাবহ হয়ে পড়েছে যখন জানা গেল বৌভাত পরবর্তীতে ফিরতি একটি পরিবারের সকল সদস্যই তাঁদের চলন্ত প্রাইভেট কারের উপর অকস্মাৎ একটি ক্রেন থেকে গার্ডার পরে গাড়ীটি যেমন তেঁতলে দূরমার হয়ে যায়-৫ যাত্রীও তাতে তখন তখনই মৃত্যুর অসহায় শিকারে পরিণত হন। ঘটনাটি নিম্নরূপ:

রাজধানীর অন্যতম অভিজাত এলাকা উত্তরায় প্রাইভেট কারের উপর বাস র‌্যাপিড ট্রান্সপোর্টের (বিআরটি) গার্ডার পড়ে শিশু ও মহিলা সহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দু’জন। বিগত ১৫ আগষ্ট সোমবার বিকালে উত্তরার জসিম উদ্দিন মোড়ে প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহত হন দু’জন নবদম্পতি।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন রুবেল মিয়া (৬০), ফাহিমা (৩৭), ঝরনা(২৬), জানানাতুল (৬) ও জাকারিয়া (৪)। আহত বর-বধু হৃদয় (২৫) ও রিয়া মনি (২১)। দুর্ঘটনায় নিহত রুবেল মিয়া ও ফাহিমা বধু বিয়া মানর মা-বাবা। ঝরনা বিয়া মনির খালা। আর নিহত দুই শিশু ঝরনার সন্তান। বিয়ের দুদিন পর বৌভাত শেষে মেয়ে জামাই ও স্ত্রীসহ অন্য আত্মীয়দের নিয়ে আশুলিয়ার বাসায় ফিরছিলেন রুবেল মিয়। কিন্তু কেউ কি তাঁরা জানতেন-এই যাত্রায় তাঁদের শেষ যাত্রা? আবার আহত অবস্থায় হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন নব দম্পতি-স্বামী স্ত্রী উভয়ে। সকলের প্রত্যাশা তাঁরা সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন এবং স্বাভাবিক সংস্কার জীবন পালন করুন।

কিন্তু সবাই জানি, স্বাভাবিক সংসার জীবন চালাতে ওই দম্পতির উভয়েরই হয়তো অনেক সময় লেগে যাবে। ততদিনে মেহোদর রং তো বির্ণ হয়ে আসবে উভয়ের চোখের জল ও দিব্যি শুকিয়ে আসবে। পিতৃমাতৃহীন রিয়ার জীবন দুঃসহ যন্ত্রণায় বহুদিন কাতরাবে।

সবশেষে জানা গেল, ত্রুটি ছিল ওই গার্ডার, ক্রেন প্রকৃতিতে যার জন্যে কন্ট্রাক্টর দায়ী। কিন্তু বিদেশী কন্ট্রাক্টরের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দিয়ে বি আর টির কর্তা ব্যক্তিরা কি রেহাই পেতে পারেন? জানা যাচ্ছে, ক্রেনের শক্তির চাইতে বেশী ভারী ছিল গার্ডার। যদি তা সত্য হয় তবে গার্ডার যে রাস্তায় ভেঙ্গে পড়বে তাতে তো আশ্চর্য্য হওয়ার কিছু দেখি না।
মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন

এখানে মিলিয়ন ডলার মূল্যের প্রশ্নটি হলো-এই প্রকল্পের কাজ চালানোর কী নীতিমালা নির্ধারিত হয়েছিল? কী পরিমাণ শক্তিসম্পন্ন ক্রেন কন্ট্রাক্টার ব্যবহার করতে পারবেন বলে স্থির করা হয়েছিল? দিনের বেলায় ওই ব্যস্ত রাস্তার ধারে ক্রেন-গার্ডার ব্যবহার সংক্রান্ত কোন নীতিমালা যদি পূর্বে নির্ধারিত না হয়ে থঅকে তবে বি আর টি কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় তার দায় কীভাবে এড়াবেন?

আসলে আমাদের দেশে মৃত্যুর চেয়ে শস্তা আর কিছু নেই-মানুষের জীবনের চাইতে মূল্যহীন সরকারের কাচে আর কিছুই নেই।

তাই দায় এড়াতে কন্টাক্টরকের দোষী সাব্যস্ত করা, যেন গোটা রাস্তার এবং রাস্তার ধারের (উভয় পাশে) সকিছুই কন্ট্রাক্টারের কাছে লিজ দিয়ে বসে ছিলেন। ওই লিজের তালিকায় চলন্ত গাড়ী ঘোড়া, পথ চাবী, অসংখ্য মানুষ সবাই পড়েন। বস্তুত: নিরাপত্তাহীন নির্মাণের খেশারত একের পর এক দিতে হচ্ছে।

চক বাজারের ঘটনায় বরিশাল হোটেলের মালিককে দায়ী করে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয় সেই কতৃপক্ষকে যারা পুরাতন ঢাকা থেকে কেমিক্যাল গোডাউন ও দাহ্য পদার্থের গুদাম দোকান সরান নি তাদেরকে। তারা অতীতের মত এবারও পার পাবেন।

আবার উত্তরার মত ঘটনা অতীতে আরও কয়েকবার ঘটলেও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি। মানুসের মৃত্যুর মিছিল লম্বা হচ্ছেই।

লেখক : সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ, একুশে পদক প্রাপ্ত সাংবাদিক।