স্টাফ রিপোর্টার : দুর্নীতি ও অসাধু উপায়ের মাধ্যমে ‘আঙুল ফুলে কলাগাছ’ হয়েছেন হবিগঞ্জ মাতৃমঙ্গল (মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র) এর চিকিৎসক আকলিমা তাহেরী কলি ও পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা নাদিরা বেগম। ধন-সম্পদের উৎস অনুসন্ধান করতে গিয়ে ‘কেঁচো খুড়তে সাপ’ বেরিয়ে আসল।

জানা গেল, নাদিরা-আকলিমা সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হবিগঞ্জ মাতৃমঙ্গল (মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র) ও এর চিকিৎসা ব্যবস্থা। হাসপাতালের যন্ত্রপাতি, সার্জারী ডাক্তার, নরমাল ডেলিভারী, প্রাইভেট হাসপাতালে সিজার ও বিভিন্ন টেস্ট করানো, সরবরাহকৃত ঔষধ ইত্যাদিসহ সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করে এই সিন্ডিকেট। সন্তান সম্ভাব্য কোন নারী আসলেই চোখ কপালে উঠে যায় তাদের। ভয়-ভীতি দেখিয়ে উন্নত চিকিৎসার প্রলোভনে কৌশলে রোগী ভাগিয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে ইচ্ছেমত টাকা হাতিয়ে নেন তারা।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, গত ৩/৪ বছরে ৫/৬ বার বদলী হয়েছেন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা নাদিরা বেগম। তবে অনেকবার বদলী হলেও কর্তৃপক্ষের দিকে অভিযোগ ও অবৈধ তদবীরের মাধ্যমে ঘুরে ফিরে আবার চলে আসেন পূর্বের কর্মস্থল হবিগঞ্জ মাতৃমঙ্গলে (মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র)। হাসপাতালে আসা সেবা প্রত্যাশী ও সহকর্মী এবং রোগীদের প্রাইভেট ক্লিনিকে পাঠিয়ে টাকা আত্মসাতের পরপর ঘটনায় এর কোনটায় হয়েছেন স্ট্যান্ড রিলিজ আবার কোন অভিযোগ এখনও তদন্তধীন। একাধিকাবার বদলী ও স্ট্যান্ড রিলিজ হয়েও হবিগঞ্জ মাতৃমঙ্গল (মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র) এ থাকার কারন জানতে চেয়ে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা নাদিরা বেগমের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সঠিক তথ্য না দিয়ে সাংবাদিককে চাঁদাবাজির মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দেন।

সর্বশেষ গত ডাক্তার আকলিমা তাহেরী ও পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা নাদিরা বেগমের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ সিভিল সার্জন বরাবরে লিখিত দায়ের করেন মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক ভুক্তভোগী। অভিযোগের ঘটনাটি সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাক্তার নুরুল হক। তবে তিনি হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন অফিসের স্টাফ নন বলে জানিয়েছেন তিনি।

হবিগঞ্জ জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ- পরিচালক মীর সাজেদুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগটা যেহেতু সিভিল সার্জন মহোদয় বরাবরে জমা দেয়া হয়েছে সেটা তিনি দেখবেন, কিন্তু আমার দপ্তরের অভিযোগ গুলো আমি দেখব। ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

(টিজি/এসপি/আগস্ট ২৫, ২০২২)