সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের সালথায় ডাক্টার দেখিয়ে বাড়ি ফেরার সময় ভ্যানের উপরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সুমাইয়া আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধু। গৃহবধুর বাবার দাবি তার স্বামী তাকে মারধর করার পর অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি। তবে স্বামীর বাবার দাবি তিনি অসুস্থ হয়ে মারা গেছে। রবিবার (২৮ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠান। সুমাইয়া উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের নটখোলা গ্রামের মোস্তফা খলিফার মেয়ে ও একই গ্রামের মীরের পাড়ার ইমরান শেখের স্ত্রী।

গৃহবধুর বাবা মোস্তফা খলিফা অভিযোগ করে বলেন, চার বছর আগে ইমরানের সাথে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে মেয়েকে কয়েকদফা মারধর করে তার স্বামী। সবশেষ আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা চায়। টাকাটা না দেওয়ায় সে মেয়েকে মারধর করে। এতে আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ময়েনদিয়া বাজারে ডাক্টারের কাছে নিয়ে যায়। ডাক্টার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ফরিদপুর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু তাকে হাসপাতালে না নিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে আনার জন্য রওয়ানা হয়। বাড়ি ফেরার পথে ভ্যানের উপরেই তার মারা যায়। তিনি বলেন, ওরা আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। আমি এর বিচার চাই।

তবে তার অভিযুক্ত ইমরানের বাবা রোকন শেখ বলেন, আমার ছেলে আর তার স্ত্রীর মধ্যে কোন ঝামেলা ছিল না। যৌতুকের জন্যও কোনদিন আমার ছেলে তার শশুরবাড়িতে চাপ দেয়নি। রবিবার সকালে আমার ছেলের স্ত্রী অসুস্থ হলে তাকে ডাক্টারের কাছে নিয়ে যায়। ডাক্টার দেখিয়ে তাকে নিয়ে আসার পথে সে মারা যায়।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাদিক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। পরবর্তীতে ময়না তদন্তের রির্পোট অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এএনএইচ/এএস/আগস্ট ২৮, ২০২২)