আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে গতকাল বৃহস্পতিবার বরিশালের আগৈলঝাড়া সদরে শহীদ আ.রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে লক্ষ্মী দশহরায় প্রতীমা প্রতিযোগিতা, আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মেলা ও পুরস্কার বিতরণ।

আগৈলঝাড়া উপজেলা কেন্দ্রিয় পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে প্রতি বছর লক্ষ্মী দশহরা উপলক্ষে এ মেলার আয়োজন হয়ে আসছে। হিন্দু ধর্ম মতে, ধনের দেবী লক্ষ্মী। আশ্বিন মাসের পূর্নিমা তিথীতে প্রতি ঘরে পূজার পর এ মেলার অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ১৯৮৮ সাল থেকে দশহরা ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ধর্মীয় কারণে লক্ষ্মী দশহরা অনুষ্ঠিত হলেও মূলতঃ ঐতিহ্যগত কারনে আগৈলঝাড়াবাসীর কাছে এ মেলা একটি অসম্প্রদায়িক সংস্কৃতির সেতু বন্ধনে পরিণত হয়েছে। ওই দিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী হাজার হাজার নারী-শিশু-পুরুষের সমাগম ঘটে মেলায়। সন্ধ্যায় স্বাধীনতা মঞ্চে উপজেলা কেন্দ্রিয় পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুনীল বাড়ৈর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথী ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা খান। বিশেষ অতিথীর বত্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবী চন্দ, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন, আ’লীগ সভাপতি ইউসুফ মোল¬া ও কেন্দ্রিয় পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বাকাল ইউপি চেয়ারম্যান বিপুল দাস।

নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ কাঠের তৈরি আসবাবপত্র ও বিপুল সৌখিন দ্রব্যাদি সমাহার ঘটে এ মেলায়। মেলাকে ঘিরে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের বিক্রেতারা তাদের কার্যক্রম শুরু করে অন্তত ছয় মাস আগ থেকে। পূজারীরা উপজেলার বিভিন্নস্থান থেকে লক্ষ্মী প্রতীমা নিয়ে মেলার প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করেন। ধর্মীয় রীতি পালন করে বাদ্য-বাজনা আর আরতী প্রতিযোগিতায় মাতিয়ে তোলে পুরো মেলাঙ্গন। রাতে মেলায় ঢাকী, বাঁশী, নৃত্য, ধর্মীয় গান ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারী এবং মেলায় আগত প্রতীমা প্রতিযোগীতার ভিত্তিতে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

(টিবি/এটিআর/অক্টোবর ০৯, ২০১৪)