একে আজাদ, রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর কালুখালীতে সরলতার সুযোগ নিয়ে ৮৫ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সুবল কুমার দাস অরুফে সরোজ নামের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। সুবল কুমার দাস উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের মৃত নবদীপ চন্দ্র দাসের ছেলে। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনেছেন একই গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান খানের ছেলে মোহোম্মদ মহাসীন খান।

মাহোম্মদ মহসীন খান তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, আমি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অধিন কর্মরত থাকায় বিভিন্ন সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে আমার পদায়ন হয়। সুবল কুমারকে আমি আমার পিতার মত বিশ্বাস করে সরল মনে তার মাধ্যমে দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ আমার যাবতীয় কাজ করাই। বিনিময়ে তাকে প্রতিমাসে একটা পারিশ্রমিক দেই। দির্ঘ ৫ বছর যাবৎ তাকে দিয়ে ক্রয় করা আমার বাড়ির জমি সহ আশপাশের বেশ কিছু জমি ক্রয়, জমি রেজিস্ট্রি এবং ক্রয়কৃত জমিতে একটি দুইতলা ভবন মির্মাণ করাই। তার কাছ থেকে ৩০ শতাংশ জমি ক্রয় করি। পরে আমি জানতে পারি সরকারি জমি কবলা দলিল করে আমার কাছে বিক্রয় করেছে সে। মহসীন খান আরোও জানান, এসব বাবদ বিভিন্ন সময় আমি তার কাছে প্রায় ১ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা দেই। সুবল কুমার আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে ৫ বছরে প্রায় ৮৫ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করেছে। তাকে এই টাকা ফেরৎ দেওয়ার জন্য বলা হলে সুবল কুমারসহ স্থানীয় জোরু মন্ডল, সরিয়াত মন্ডল ও ইসলাম ফকির বিভিন্ন ভাবে মোহাসীনকে ভয়ভীতি ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে।

এসব বিষয়ে মোহাম্মদ মহাসীন খান বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বারাবর আইনগত সহায়তা কামনা করে একটি লিখিত অভিযোগ করেছে।

এ বিষয়ে সুবল কুমার দাস অরুফে সরোজের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বারাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। তার লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাল্টা জবাব দিয়েছি। যেহুতু বিষয়টি প্রক্রিয়াধিন, সেহুতু আপনাদের সাথে আমি এ বিষয় নিয়ে আমি কোন কথা বলবো না।

এ বিষয়ে বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলামের সাথে কথা বলার জন্য তার মুঠোফোনে একাধিবার ফোন করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।

ছবি: সুবল কুমার দাসকে দিয়ে উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে মির্মাণ করা মোহাম্মদ মোহাসীন খানের দুই তলা বাস ভবন।

(একে/এসপি/সেপ্টেম্বর ০২, ২০২২)