মাহবুবুর রহমান, ঝালকাঠি : ঝালকাঠির কাঠালিয়া প্রেসক্লাবের সামনে রাকিবুল হত্যার বিচারের দাবিতে লাশ নিয়ে অবস্থান ও মানবন্ধন করেছে স্বজনরা। এ ব্যাপারে কাঠালিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ  এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে জানা গেছে।

আজ শনিবার সকাল ১১টায় কাঠালিয়া প্রেসক্লাবের সামনে নিহত রাকিবুলের আত্বীয়-স্বজনসহ এলাকাবাসী এ অবস্থান ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন। কয়েক ঘন্টা ব্যাপী অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারীরা তাদের বক্তব্যে জেলা পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানান।

ঘন্টা ব্যাপী অবস্থান ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে নিহত রাকিবুলের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হাঁসি বেগম, পিতা মোঃ শফি হাওলাদার, মা লিলি বেগম, ছেলে মোঃ সাকিবুল ইসলাম, বড় ভাই মোঃ তরিকুল ইসলাম, বোন সুলতানা বেগম ও ভাই মোঃ আরিফসহ অন্যান্য আত্বীয়-স্বজনসহ মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, ইউপি সদস্য ও এলাকাবাসী উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।

লিখিত অভিযোগপত্রে ছেলে সাকিবুল ইসলাম জানান, গত ২৭ আগস্ট শনিবার বিকালে আমার পৈত্রিক সম্পত্তিতে জোর পূর্বক উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা আমন ধানের চারা রোপন করার চেষ্টা করলে আমরা তাতে বাঁধা দিলে পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায় দক্ষিন চেচরী গ্রামের শহিদুল ইসলাম শহিদ, ইব্রাহিম হোসেন তপু, নজরুল ইসলাম হাওলাদার, মিজান হাওলাদার, ডলি বেগম, মামুন হাওলাদারসহ আরো অনেকে।

এ সময় আমার পিতা রাকিবুল ইসলাম, দাদা শফি উদ্দিন ও চাচা তরিকুলসহ অন্যরা গুরুতর আহত হয়। আহতদের প্রথমে আমুয়া হাসপাতালে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরবর্তীতে আমার পিতা রাকিবুলের অবস্থার অবনতি ঘটলে চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে ৬ দিন চিকিৎসাবস্থায় ২ সেপ্টেম্বর সকালে তার মৃত্যু হয়।

নিহতের পরিবার অভিযোগ করেন, ঘটনার পর কাঠালিয়া থানা পুলিশকে জানানো হলেও পুলিশ তাৎক্ষনিক কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। আসামীদের জনবল ও অর্থবল বেশী হওয়ায় পুলিশ তাদের হাতের কাছে পেয়েও গ্রেফতার করেনি। সর্বশেষ আমার ভাই রাকিবুলকে হত্যা করার পরেও কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি।

(এম/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২২)