লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : জেলার রায়পুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবদুল জলিল নিহত হয়েছেন। তবে কীভাবে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকদের আন্দোলনের সময় থানা কার্যালয়ের মূল ফটকে রাস্তার পাশে দায়িত্বরত অবস্থায় তিনি বুকে গুলিবিদ্ধ হন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। পুলিশ তার মৃতদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত আবদুল জলিলের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়ারপুর ইউনিয়নের হরিভল্লবপুর গ্রামে। তিনি জেলা পুলিশ লাইনসের আর্মস ব্রাঞ্চে কর্মরত ছিলেন। তার ব্যাচ নং-২৩।

স্থানীয়রা জানায়, রায়পুর উপজেলায় তীব্র লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাতে বিক্ষোভ করে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাইন থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য হিসেবে আবদুল জলিলও রায়পুর থানার সামনে দায়িত্বে ছিলেন। এ সময় তিনি বুকে গুলিবিদ্ধ হন।

রায়পুর থানার ওসি একেএম মঞ্জুরুল হক আকন্দ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ বিদ্যুৎ গ্রাহকদের আন্দোলনের সময় জলিল থানার সামনে দায়িত্বরত ছিলেন। এ সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।’

জেলা পুলিশ সুপার শাহ মো. শাফিউর রহমান বলেন, ‘এএসআই জলিল কীভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের পর গুলির ব্যাস্টিক পরীক্ষা করার পর সেটি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।’

(ওএস/এইচআর/অক্টোবর ১০, ২০১৪)