আফরিন অনিমা : আওয়ামীলীগ সমর্থন করেন এমন অনেক সাংবাদিক, সাহিত্যিক, কবি, শিল্পী ও বুদ্ধিজীবী রয়েছেন যারা দলের জন্য নিবেদিত। তারা নিজেরা নিজেদের অবস্থানে অনেক জনপ্রিয়।

কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা তাদের জনপ্রিয়তাকে দল বা সরকারের কাজে লাগাতে পারি না।

আ'লীগের শীর্ষস্থানীয় কোনো নেতারই সময় নেই তাদের সাথে বসে একদিন চা পান করার ফাঁকে দল বা সরকার নিয়ে কথা বলার? জানতে চাওয়া দেশের চলমান প্রেক্ষাপট বা এন্টি আ'লীগদের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত নিয়ে তাদের ভাবনা বা করনীয় কী?

নেতাদের যদি এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়, তাহলে তারা বলবেন তারা সরকার পরিচালনা নিয়ে ব্যস্ত? ধরে নিলাম তারা সরকার নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু কথা হচ্ছে সবাই তো আর সরকারের দায়িত্বে না।

যারা দায়িত্বে আছেন তারা না হয় কাজের চাপে সময় পান না কিন্তু যারা সরকারের কোনো দায়-দায়িত্বে নেই তারা করছেনটা কী?

সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক বৃন্দের বাইরে আ'লীগে আরও বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদ রয়েছে। আর সেই সব পদের আলাদা আলাদা দায়িত্বও ভাগ করা রয়েছে?

এখন কথা হচ্ছে কেন্দ্রীয় কমিটির কয়জন সরকারের দায়িত্বে আছেন। যারা সরকারে আছেন তাদের নিয়ে কোন কথা নেই কিন্তু যারা সরকারে নেই তাদের দায়-দায়িত্ব তারা কতটা পালন করছেন?

আ'লীগে তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক একটা পদ আছে? আর সেই পদের দায়িত্বশীল নেতা কী কখনও তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে তরুন প্রজন্মের তরুন আইটি স্পেশালিষ্টদের সাথে বসেছেন?

স্বাস্থ্য সম্পাদকেরও একটা পদ আছে কিন্তু এই পদের দায়িত্বশীল নেতা কী কখনও আমাদের চিকিত্সক সমাজের সাথে বসেছেন?

আর এভাবেই আ'লীগ আলাদা আলাদা সম্পাদকীয় পদ পদবী রয়েছেন কিন্তু তারা কখনও নির্দিষ্ট বিভাগের কারো সাথে বসারও দরকার মনে করেন না?

আমাদের দুর্ভাগ্য যে, শেখ হাসিনাকে সব কিছুই দেখতে হয়? সব পদের দায়িত্বশীলদের কাজও তাকে করতে হয়। তাহলে অন্যদের কাজ কী?

লেখক : সক্রিয় অনলাইন কর্মী