ইবি প্রতিনিধি : মেহেরপুরের গাংনীর বাজার পাড়া থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নিশাত তাসনীম উর্মীর (২৪) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে  অভিযোগ করেন  তার পিতা।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম তার লাশ উদ্ধার করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর মর্গে প্রেরণ করেছে।

গৃহবধূ নিশাত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং গাংনীর পদ্মা এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী হাসেম শাহ্ এর ছেলে আসিকুজ্জামান প্রিন্সের স্ত্রী। তিনি গাংনী উপজেলার চাদপুর গ্রামের গোলাম কিবরিয়ার মেয়ে।

পারিবারিক সূত্র ধরে জানা যায়, মৃত গৃহবধূ নিশাতের তার স্বামীর সঙ্গে স্কুল জীবন থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং কলেজে উঠে তাদের বিয়ে হয় ।তাদের ঘরে ১৩ মাস বয়সী একটা ছেলে সন্তান রয়েছে।

উর্মীর পিতা গোলাম কিবরিয়া অভিযোগ করে জানান, গভীর রাতে তার মেয়ের শ্বশুর হাসেম শাহ্ মোবাইল ফোনে জানান, তার মেয়ে উর্মী অসুস্থ হওয়ায় তাকে গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে। অসুস্থতার কারণ জানতে চাইলে উর্মী ঘরের জানালার সাথে ফাঁস দিয়েছে বলে জানানো হয়।পরে সংবাদ পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে জানতে পারেন, উর্মী অনেক আগেই মারা গেছেন।

তিনি আরোও বলেন, উর্মীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে শারিরীক নির্যাতন করে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। পরে পুলিশে খবর দেয়া হলে পুলিশ লাশ থানা হেফাজতে নেয়।

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, সংবাদ পেয়ে লাশ পুলিশ হেফাজতে নেয়ার পর একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। লাশ মেহেরপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এম/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২২)