ইবি প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্বিবিদ্যালয়ে (ইবি) চেয়ার টেবিলের অভাবে ক্লাস রুমের ফ্লোরে বসেই ক্লাস করতে হচ্ছে কয়েকটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের । যার  ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বিভাগ গুলোর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।

তথ্য নিয়ে জানা যায়, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনের ৫ম তলায় হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ৫টি ক্লাস রুমের মধ্যে ২টিতে নেই কোনো চেয়ার টেবিল । শিক্ষার্থীরা ফ্লোরে বসে ক্লাস করেন। ৬ষ্ঠ তলায় ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে মাত্র ১টি রুমে চেয়ার টেবিল আছে বাকি ৪টি ক্লাস রুমে চেয়ার টেবিল নেই। এমনকি শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের রুম গুলোতেও চেয়ার টেবিলের চরম সংকট রয়েছে । বর্তমানে বিভাগ দুটিতে ৪টি ব্যাচ চলমান রয়েছে আগামীতে আরো ১টি ব্যাচ যুক্ত হতে যাচ্ছে। এর ফলে দ্রুত সংকট নিরসন না হলে ক্লাস-পরীক্ষায় বিলম্ব ও সেশন জটের আশঙ্কা করছেন বিভাগগুলো।

এছাড়াও জানা যায় যে, মীর মোশারফ হোসেন একাডেমিক ভবন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ সহ বেশ কিছু ভবনে কিছু বিভাগের ক্লাস রুমে পর্যাপ্ত চেয়ার টেবিলের অভাব রয়েছে । যার ফলে, গাদাগাদি করে বসে ক্লাস করতে হয় শিক্ষার্থীদের।

হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুর জামান আশিক জানান, ডিপার্টমেন্টের ক্লাস রুমে চেয়ার টেবিলের অভাবে বসে ক্লাস করতে কষ্ট হয় । বিশেষ করে স্যারের লেকচার নোট করতে গেলে মনোযোগ হারিয়ে ফেলি এবং লিখতে অনেক কষ্ট হয়।

হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী তাহমিদ শাহরিয়ার বলেন, ফ্লোরে ক্লাস করা খুবই কষ্টকর এবং ক্লাসে স্যারদের লেকচারে মনোযোগ ও বসেনা, সুতরাং আমরা চাই খুব দ্রুত যেন আমাদের এই ভোগান্তির অবসান ঘটে।

ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের একজন শিক্ষার্থী জানান, আমাদের শুধু একটি মাত্র ক্লাস রুমে চেয়ার -টেবিল আছে।ফ্লোরে বসে ক্লাস করা অনেক কষ্টের। যেদিন ৪ টা ব্যাচের ক্লাস থাকে ওইদিন ক্লাস করতে অরোও বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

এই বিষয়ে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি শিমুল রায় ও ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম উভয় বিষয়টি নিয়ে জানান, প্রকৌশল অফিসের মাধ্যমে প্রশাসনের নিকট বিষয়টি জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোন সাড়া পায়নি। তবে জানিয়েছেন টেন্ডার দেওয়া হয়েছে অতি দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে।

এ বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মুন্সী সহিদ উদ্দীন মোঃ তারেক বলেন, 'আমরা তিন মাস পূর্বেই যে সকল বিভাগে চেয়ার টেবিল প্রয়োজন সে গুলোর জন্য টেন্ডার আহ্বান করেছি। প্রশাসনিক কিছু জটিলতার কারণে এখনো চুড়ান্ত হয়নি। তবে আশা করছি আগামী কিছুদিনের মধ্যে টেন্ডার চুড়ান্ত হতে পারে। চুড়ান্ত হলে কাজ শেষ হতে তিন থেকে চার মাস সময় লাগতে পারে।'

(এম/এসপি/সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২)