আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সরকারের ‘অবৈধ’ এবং বিতর্কিত মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এখন কোথায় আছেন তা কেউ জানেন না। মন্ত্রিত্ব হারানো থেকে শুরু করে দল থেকে বহিষ্কার, মামলা, সমন জারি, ফতোয়া, ফাঁসির দাবি ইত্যাদির পর এখন তার সংসদ পদ বাতিল এবং তাকে বিদেশেও সরকার কর্তৃক অবৈধ ঘোষণার খবর প্রকাশিত হবার পর তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত! খবরে প্রকাশ, তিনি লাল এবং সবুজ পাসপোর্ট স্যারেন্ডার না করলে সরকার তা-ও বাতিল করবে। তিনি সরকারের সাথে নানা ভাবে লিয়াজো করে ব্যর্থ হন। কোথাও থেকে কোনো ধরনের সবুজ সঙ্কেত পাননি। একে একে সব বাতি নিভে যাওয়ায় তিনি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে এখন অন্তরাল থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন! ভয়েস অফ আমেরিকা, বিবিসি, সিবিসি এবং দেশ-বিদেশের সাংবাদিকরাও তার কোনো হদিস পাচ্ছেন না। ধারণা করা হচ্ছে, ভিসাগত কারণে তিনি এখনো কানাডায় ঢুকেননি এবং নিউ ইয়র্কেও নেই। হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের অন্য শহরে লোক চক্ষুর অন্তরালে অবস্থান করছেন। এ ব্যাপারে ঢাকার তার এক ঘনিষ্ঠজন ইত্তেফাককে জানান, বিদেশে তো মৌলবাদীদের নেট ওয়ার্ক আরো বেশি ছড়ানো। তাই হয়ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। তবে এই মুহূর্তে তিনি দেশে ফিরছেন না। তা অনেকটা নিশ্চিত।

লতিফ সিদ্দিকী অবস্থান সম্পর্কে তার ছোট বোন সেলিনা সিদ্দিকী শুশু বলেন, ‘আমার সাথে যোগাযোগ হয়নি। আমি সঠিক জানি না। এ ছাড়া আমি আর কিছুই আপাতত বলতে চাই না।’ কানাডাস্থ বাংলাদেশের হাই কমিশনার কামরুল আহসানের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে কোনো খবর নেই। একজন মন্ত্রি হিসেবেও হাই কমিশনে আজ পর্যন্ত যোগাযোগ করেননি এবং সরকার থেকেও অটোয়াস্থ দূতাবাসকেও কিছুই অবগত করা হয়নি।’ নিউ ইয়র্কের কনস্যুলার অফিস থেকেও একই কথা বলেছে।

‘লতিফ সিদ্দিকীর ষড়যন্ত্রের শিকার’ সেলিনা সিদ্দিকী শুশু কথার সূত্র ধরে অনুসন্ধান করে নিউ জার্সি থেকে জানা গেছে, নিউইয়র্কে টাঙ্গাইল সমিতির ঘরোয়া বৈঠকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং পরিকল্পিতভাবেই স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতার স্ত্রী শাহানা রহমান তার আইপ্যাডে লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্য ধারণ করে জামায়াতের টাইম টেলিভিশনের ফারুক চৌধুরীকে সরবরাহ করে। তা সেখান থেকেই মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। হাসানুজ্জামান সাকী সেই নিউজ যমুনা টিভির মাধ্যমে দেশে প্রচার করেন। তাহলে টাঙ্গাইল সমিতির ঘরোয়া বৈঠকে সাজানো কীনা নাটক; সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।

অপর খবরে প্রকাশ, মেক্সিকোর লেবানিজ বংশোদ্ভূত ধনকুবের ও ভিওআইপি ব্যবসায়ী কার্লোস স্লিমকে বাংলাদেশে টেলিকম ব্যবসায় বিনিয়োগের সুযোগ দেয়ার বিনিময়ে ২৫ মিলিয়ন ডলারের কমিশন ভাগ নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অনেকের ধারণা।

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল, কানাডা থেকে

সৌজন্য : দৈনিক ইত্তেফাক

(ওএস/এইচআর/অক্টোবর ১১, ২০১৪)