লালমনিরহাট প্রতিনিধি : লালমনিরহাটে ঈদের ৬ দিন পরেও  বাস- ট্রেনের টিকিট নেই। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ বিভিন্ন গন্তব্য স্থলে ফেরা মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারন করেছে। ট্রেনে দাঁড়িয়ে যাওয়ার টিকিটও দেওয়া হচ্ছে না।

দূরপাল্লার আন্তঃনগর বাসের টিকিট ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিক্রি হয়ে গেছে। ফলে কর্মস্থলে ফিরতে পারছে না লালমনিরহাটে ঈদ করতে আসা শত শত মানুষ ।

জানা গেছে, লালমনিরহাটে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির কারণে যাত্রার ১০ দিন আগেই ট্রেনের নির্ধারিত দিনের টিকিট শেষ হয়ে গেছে। তবে এক শ্রেণির কালোবাজারি টিকিট আগাম সংগ্রহ করে দুই তিন গুণ বেশি দামে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

অপরদিকে বাসের টিকিটও ঈদের সাত থেকে আটদিন আগেই শেষ হয়েছে বলে বিভিন্ন কোচের কাউন্টার থেকে জানা গেছে। এ ছাড়া দূরপাল্লার লোকাল বাসগুলোর টিকিটও না পেয়ে অনেকে বাসের ছাদে ও বিকল্পভাবে ট্রাক ভাড়া করে গন্তব্যস্থলে যাচ্ছে। এই সুযোগে কোচগুলো ইতিমধ্যে তাদের টিকিটের নির্ধারিত ফি বাড়িয়ে দিয়েছে। অবশ্য বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে।

শনিবার সকালে লালমনিরহাট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে আসা জহির উদ্দিন ও আছমা আখতার দুজনেই কর্মরত আছেন ঢাকার একটি বেসরকারি ফার্মে।

শনিবার পর্যন্ত তাদের ছুটি ছিল। রোববার অফিসে উপস্থিত হতে হবে। কিন্তু বাস ও ট্রেনের টিকিট না পেয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা ।

অপরদিকে ট্রেনের টিকিটও এখন সোনার হরিণ। যাত্রীদের অভিযোগ, টিকিটের দাম দ্বিগুণ বেশি দিলে স্টেশন মাস্টার ও কালোবাজারিদের কাছে গোপনে পাওয়া যাচ্ছে লালমনি এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন আন্তঃনগন ট্রেনের টিকিট।

এ ব্যাপারে লালমনিরহাটের রেলওয়ে সহকারী স্টেশন মাস্টার মাহবুবুর রহমান ট্রেনের টিকিটের দাম দ্বিগুণ বেশি কিংবা কালো বাজারের বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন , বিষয়টি সঠিক নয়।

(ওএস/এইচআর/অক্টোবর ১১, ২০১৪)