বাংলা ৭১ ডেস্ক : মুক্তিবাহিনী কুমিল্লার কান্দিপুর ও রাজগঞ্জে পাকসেনা অবস্থানের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ১০ জন সৈন্য নিহত হয়।

নোয়াখালীর মজুমদারহাট, অনন্তপুর হাট ও পরশুরামে মুক্তিবাহিনী মর্টারের সাহায্যে পাকসেনাদের বিরুদ্ধে দুঃসাহসিক অভিযান চালায়। এই অভিযানে পাকবাহিনীর ৪১ জন সৈন্য নিহত হয়।

১নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী গ্রেনেডের সাহায্যে গুতুমায় পাকসেনা অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ১ জন সৈন্য নিহত ও অনেক আহত হয়।

মুক্তিবাহিনী যশোরের ফকিরহাট অঞ্চলে পাকসেনাদের চুলকাঠি হাই স্কুল ক্যাম্প আক্রমণ করে। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ১০ জন সৈন্য নিহত হয়।

পিপলস পার্টির তথ্য সেক্রেটারি মওলানা কাওসার নিয়াজী ঢাকায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, জামায়াতে ইসলামীর মত একটি ফ্যাসিবাদী ধর্মীয় দলকে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করা হচ্ছে। এই দলটি পাকিস্তানকে আর এক ইন্দোনেশিয়ায় পরিণত করতে চাচ্ছে। দলটি সম্পর্কে জনমনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

পাকিস্তান পিপলস পার্টির ঢাকা সফররত প্রতিনিধি দলের নেতা মাহমুদ আলী কাসুরী ও পার্টির প্রচার সম্পাদক কাওসার নিয়াজীর সাথে ভাসানীপন্থী পূর্ব পাকিস্তান ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান (যাদু মিয়া) ও যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার জাহিদ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক আলোচনা বৈঠকে মিলিত হন।

গভর্নর ডা. এ.এম. মালিক নুতন তিনজন মন্ত্রী নিয়োগের পর মন্ত্রীদের দপ্তর পূনর্বন্টন করেন। মন্ত্রীদের মধ্যে আবুল কাশেম অর্থ, আব্বাস আলী খান শিক্ষা, আখতার উদ্দিন আহমদ বাণিজ্য ও শিল্প; এ.এস.এম. সোলায়মান শ্রম, সমাজকল্যাণ ও পরিবার পরিকল্পনা; আউং শু প্রু চৌধুরী বন, সমবায় ও মৎস্য(সংখ্যালঘুদের বিষয় ও তিনি দেখবেন); মওলানা এ.কে.এম. ইউসুফ রাজস্ব; মওলানা মোহাম্মদ ইসহাক মৌলিক গণতন্ত্র ও স্থানীয় স্বায়ত্বশাসন; নওয়াজেশ আহমদ খাদ্য ও কৃষি; ওবায়দুল্লাহ মজুমদার স্বাস্থ্য; অধ্যাপক শামসুল হক সাহায্য ও পুনর্বাসন; এ.কে. মোশারফ পূর্ত ও বিদ্যুৎ; জসিম উদ্দিন আহমদ আইন ও পার্লামেন্টারী বিষয়ক; মজিবুর রহমান তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।

অর্থমন্ত্রী আবুল কাশেম পশ্চিম পাকিস্তান সফরে যান। সেখানে পৌঁছেই তিনি সাংবাদিকদের জানান, দেশের অবস্থা দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে আসছে। দেশপ্রেমিক জনগণ এবং রাজাকার বাহিনী দুষ্কৃতকারীদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।

সাতক্ষীরায় শান্তি কমিটির উদ্যোগে শিশু পার্কে স্থানীয় দালালদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ্যাডভোকেট আবুল খায়েরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় দালালরা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে যে, দুনিয়ার এমন কোনো শক্তি নেই পাকিস্তানকে ধ্বংস করতে পারে।

তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।