টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এসএম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান বলেছেন, মির্জাপুরে মা ও তিন মেয়েসহ চারজনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা বেদনাদায়ক। এই মামলায় ইতিমধ্যেই ৮ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মুল আসামি জাহাঙ্গীর হোসেনকে গ্রেপ্তার অভিযান চলছে।

জাহাঙ্গীরকে কেউ ধরিয়ে দিতে পারলে বা সন্ধান দিতে পারলে সন্ধানদাতাকে এক লক্ষ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে বলে তিনি ঘোষণা দেন। তিনি আরো বলেন, মুল আসামি জাহাঙ্গীরসহ কোন আসামিই যাতে পালিয়ে বিদেশে যেতে না পারে তার জন্য সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। এছাড়া আসামিদের ধরতে সাংবাদিকসহ জনগণের সাহায্য চেয়ে ডিআইজি আরো বলেন, এধরণের আসামিদের কেউ আশ্রয় দিলে তারাও অপরাধী হবে। তাদেরও শাস্তি দেয়া হবে। তিনি শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের সোহাগ পাড়ায় মা ও তিন মেয়েসহ চারজনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার খোঁজ খবর নিতে এসে মির্জাপুর থানায় সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিয়মকালে এ কথা বলেন।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত ডিআইজি শফিকুল ইসলাম ফারুক হোসেন, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ রায়, মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা প্রমুখ। এসময় নিহত হাসনার স্বামী ও তিন মেয়ের বাবা প্রবাসী মজিবুর রহমান, হাসনার ভাই মামলার বাদী মোফাজ্জল হোসেন ও হাসনার বাবা আলাল মিয়া মির্জাপুর থানায় ডিআইজি এসএম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামানের সাথে সাক্ষাত করেন। সাক্ষাতকালে স্ত্রী সন্তনহারা প্রবাসী মজিবুর রহমান কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। মির্জাপুর থানা পুলিশ শনিবার ভোররাতে কালিয়াকৈর এলাকা থেকে এজাহারভুক্ত ৪নং আসামি বদর উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে। সে মুল আসামি জাহাঙ্গীরের চাচা। এ নিয়ে মির্জাপুর থানা পুলিশ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো মাছরাঙ্গা ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপক মীর আজাদুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আবুল বাশার, সুপারভাইজার ওয়াসিম মিয়া, লাইনম্যান আব্দুল মান্নান, মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই নয়াপাড়া গ্রামের সুশান্ত কুমার রায়, অভিযুক্ত ঘাতক জাহাঙ্গীরের ফুপা পার্শ্ববর্তী কালিয়াকৈর উপজেলার চানপুর গ্রামের নান্নু মিয়া ও খালাত ভাই সখিপুর উপজেলার বড়চালা গ্রামের বাদশা মিয়া।
প্রসঙ্গত, বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় প্রতিবেশী বখাটে যুবক জাহাঙ্গীর হোসেনসহ অন্যান্যরা গত ৭ অক্টোবর মঙ্গলবার ঈদের দিন ভোররাতে মির্জাপুরের দক্ষিণ সোহাগ পাড়া গ্রামের প্রবাসী মজিবুর রহমানের ঘরে পেট্রোল ঢেলে হাসনা বেগম (৩৫) ও তার তিন মেয়ে মনিরা আক্তার (১৪), বাকপ্রতিবন্ধী মীম আক্তার (১১) ও মলি আক্তারকে (৭)। পুড়িয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় পরের দিন নিহত হাসনার ভাই মোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে জাহাঙ্গীর হোসেনকে প্রধান আসামী করে ১০ জনের নামে মির্জাপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

(ওএস/এটিআর/অক্টোবর ১১, ২০১৪)