দীপক চন্দ্র পাল, ধামরাই : আগামী ১ লা অক্টোবর মহাপঞ্চমীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে হিন্দু সম্প্রদায়েরর অন্যতম প্রধান ধর্মীয় শারদীয়া উৎসব। ধর্মীয় রীতি মতে এবার দেবীর দোলায় আগমন ও দেবীর গজে গমন। এবার ধামরাই উপজেলার  একটি পৌর সভা ও ষোল টি ইউপির বিভিন্ন স্থানে ২০৪টি স্থায়ী ও অস্থায়ী মন্দিরে শারদীয়া উৎসবের আয়োজনে শিল্পী -পূজারীরা প্রতিমা গড়ার কাজে এখন মহা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। 

বাঁশ দিয়ে অবকামো তৈরী, প্রতিমা শিল্পীরা তাদের সহ কর্মীদের দিয়ে মাটি নরম ও তৈরী করার পর প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি ও মূর্তি গড়ার কাজ ও প্রায় শেষ পর্যায়ে এনেছেন। দ্রুতই শুরু হবে রং তুলির কাজ শুরু হবে। আগামী ১ লা অক্টোবরের আগে সকল প্রকার সাজ-সজ্জার কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা শিল্পীদের। আয়োজক পূজারী ও শিল্পী ও প্রশাসন প্রত্যাশা করছে প্রতিবারের মতোই এবারো সুন্দর ও শান্তিপুন্র্ ভাবে শারদীয় উৎসব সম্পন্ন হবে।

ধামরাইয়ের বিশ্বকর্মা পুজারীদের অন্যতম নেতা ও শিল্পী সুকান্ত বণিক বলেন, শিল্পীরা এখন সুক্ষ সুক্ষ কাজ গুলি করছে।রং তুলির কাজও শুরু হবে। পুজা উৎসবকে কেন্দ্র করে ঘরে ঘরে উৎসব আমেজ বিরাজ করছে বলেন।
শিল্পী নিখিল পাল বলেন তিনি এবার চারটি প্রতিমার কাজ করছেন। ধামরাইয়ের সবচেয়ে বড় আয়োজন সেই মন্দিরে প্রতিমা তৈরী করছেন। এখান থেকে তিনি ৫০ হাজার টাকা মজুরি পাবেন। প্রতিমা তৈরীরর মুজুড়ি দিয়ে বছরের অধিকাংশ মাস সংসারের খরচ চালান বলেন।

শিল্পী দিপংকর দাশ বলেন, করোনার কারনে তিন বছর তাদের প্রতিমা তৈরী থেকে তেমন আয় হয়নি।এবার পরিবেশ ভালো থাকায় তিনি ১০ টি প্রতিসার অর্ডার পেয়েছেন।

পুজারী ডাঃ অজিত বসাক বলেন করোনার কারনে বিগত ৩ বছর পুজা হয়েছে,আনন্দ উৎনব মুখরতা ছিল না।এবার দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি ভালো ও করোনার প্রভাব ম্লান হয়েছে, এবার মহা ধুমধামে দূর্গা পুজা উৎসব পালন করতে পারবো বলেন।

মাধব মন্দির কমিটি ও ধামরাই উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক পুজারী নন্দ গোপাল সেন বলেন আগামী ১ লা অক্টোবর মহা পঞ্চমীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে হিন্দু সম্প্রদায়েরর অন্যতম প্রধান ধর্মীয় শারদীয়া উৎসব।ধর্মীয় রীতি মতে এবার “দেবীর ঘোটাকে আগমন ও দেবীর দোলায় গমন” হবে এবার। এবার ধামরাইয়ে ২০৪ টি দূর্গা মন্দিরে শারদীয়া উৎসবে আয়োজন হচ্ছে।

প্রশাসন থেকে থেকে সার্বিক আইন-শৃংখলা পরিবেশ নিয়ন্ত্রনে রাখতে পুজারী নের্তৃবৃন্দদের সাথে পুলিশ প্রশাসনের উধ্বতন কর্মর্তার মতবিনিময় করেছেন। পৌর এলাকার বিভিন্ন মন্দিরে ৪১ টি পূজার আয়োজন রয়েছে। দ্রুতই রংতুলির কাজ শুরু হবে।শান্তিপুর্ন ভাবে শারদীয় উৎসব শুরু ও শেষ হবে এমনটাই প্রত্যাশা করলেন।

ধামরাই থানার অফিসার্স ইনাজ মোঃ আতিকুর রহমান বলেন, শারদীয়া দূর্গা পূজা উপলক্ষে প্রশাসনিক প্রয়োজনী সব ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। ঢাকার বৃহৎ উপজেলা ধামরাই। এবার ধামরাইয়ে ২০৪ টি মন্দিরে দূর্গা পুজা হবে। বাংলাদেশের অনেক জেলাতেও এতো পুজার আয়োজন হয়না। পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইনর্শংখলা বাহিনীর সাথে আনসার .র‌্যাব ফোর্স কড়া নজর দারী করছে। বিভিন্ন স্তরের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। পুজা উদযাপন কমিটির সাথে ঢাকার পুলিশ সুপারের মত বিনিময় সভা হয়েছে। নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রতি বারের মতো এবারো শান্তিপূর্ন ভাবে পূজা উৎসব সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ধামরাইয়ের ওসি আতিকুর রহমান ।

এব্যাপারে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোম্মামদ হাই জকী বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ে সব চেয়ে বড় উৎসব শারদীয়া দূর্গা পূজা। পুজারীদের সাথে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মতবিনিময় সভা জয়েছে। এই পূজা উপলক্ষে প্রশাসনিক প্রয়োজনী সকল ব্যবস্থা গ্রহর করা হবে। তিনি এ বিষয়ে সকলের সার্বিক সহযোগিা প্রত্যাশা করেন। পুজায় সরকারী অনুদান আসা মাত্রই সকল পূজারীবৃন্দদের মাঝে বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান।আশা করি সুন্দর ভাবেই এবারের শারদীয় উৎসব শুরু শেষে হবে।

(ডিসিপি/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২)