রাজন্য রুহানি, জামালপুর : রাতে হাসপাতালে স্ট্রোক করে মারা যান অসুস্থ বাবা। লাশ বাড়িতে আনতে আনতে সকাল ৮টা। আত্মীয়স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠেছে বাতাস। চলছে দাফনের প্রস্তুতি। এরমধ্যেই ঘনিয়ে এসেছে এসএসসি পরীক্ষার সময়। তড়িঘড়ি করে পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে পৌঁছিয়ে দেয় স্বজনরা। কৃষিশিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষা শেষ করে বাবার লাশের পাশে দাঁড়ান মরিয়ম। মনকে প্রবোধ দিয়ে জানাজার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে বলেন তিনি।

এমনই হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার বাঁশদাইড় গ্রামে। পরীক্ষার্থী মরিয়ম ওই গ্রামের মৃত ফজলুল হকের মেয়ে। তিনি এবার আদারভিটা ইউনিয়নের পাটাদহ কয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন।

পারিবারিক সূত্র জানায়, শবিবার সন্ধ্যায় মরিয়মের বাবা ফজলুল হক গুরুতর অসুস্থ হলে তাঁকে জামালপুুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে স্ট্রোক করে মারা যান তিনি। রবিবার কৃষিশিক্ষা বিষয়ে পরীক্ষা মরিয়মের। বাবার লাশ বাড়িতে তিনি রেখেই পরীক্ষায় অংশ নেন। তাঁকে পাটাদহ কয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেন স্বজনরা।

কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সাইদ মোহাম্মদ শাহীনুর খান বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে পরীক্ষার হলে আমি তাঁর খোঁজখবর রেখেছি। হলগার্ডদের বলেছি তাকে মানসিকভাবে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য।

(আরআর/এএস/সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২)