সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : এক স্কুল ছাত্রীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে সাতক্ষীরা মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালত আত্মসমর্পণ করেছেন  কালীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মেহেদী।

সোমবার দুপুরে শুনানী শেষে বিচারক মোঃ শহীদুল ইসলাম তার জামিন মঞ্জুর করেছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০১২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারী বিকেলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে কালীগঞ্জ উপজেলার পিরোজপুর নিজের চিংড়ি ঘেরে রাতভর ধর্ষণ করে সাঈদ মেহেদী।

বিষয়টি জানতে পেরে ওই স্কুল ছাত্রীর মা সাঈদ মেহেদীর কাছে গেলে তিনি কয়েক দিন পর বিয়ে করবেন বলে জানিয়ে দিয়ে বিষয়টি গোপন রাখতে বলেন। একপর্যায়ে মোবাইল ফোনে বিয়েতে আপত্তি করায় বিষয়টি জাতীয় মহিলা সংস্থার সাতক্ষীরা শাখার সভাপতি রিফাত আমিনকে অবহিত করা হয়। ২২ ফেব্রুয়ারী রিফাত আমিনের অফিসে এসে সাবালিকা না হওয়া পর্যন্ত ওই স্কুল ছাত্রীকে সাতক্ষীরা শহরে রেখে পড়াশুনাসহ সকল খরচ বহন করা ও পরে বিয়ের করার শর্তে নন জুডিশিয়াল স্টাম্পে স্বাক্ষর করে সাঈদ মেহেদী।

মামলার বিবরণে আরো জানা যায়, গত ২৮ মার্চ সকাল ১০টায় মোবাইল ফোনে পুরাতন সাতক্ষীরায় ডেকে এনে সাঈদ মেহেদী একটি মটর সাইকেল যোগে ওই স্কুল ছাত্রীকে শহরের সম্রাট হোটেলে ডেকে নিয়ে আসে। সেখানে ধর্ষণের চেষ্টা করলে স্কুল ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে সাঈদ মেহেদী রাস্তায় নেমে এসে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় জনতা তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়ায় সদর থানার পুলিশ তাকে আটকের ১৫ ঘণ্টা পর ছেড়ে দেয়। ৪ এপ্রিল ওই স্কুল ছাত্রী বাদি হয়ে আদালতের মাধ্যমে থানায় মামলা দায়ের করে।

এ মামলায় পুলিশ আদালতে দু’বার চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। একপর্যায়ে গত ১৯ আগষ্ট সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. ফখরুদ্দীন আসামী সাঈদ মেহেদীকে খালাস দেয়। বাদি ঢাকা আইন ও শালিস কেন্দ্রের সহায়তায় এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি রেজাউল হক ও গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ নি¤œ আদালতে মুল নথি তলব করে আসামীকে মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়।

(আরেক/এটিিএপ্রিল ২৮, ২০১৪)