স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর : গাজীপুর মহানগরীর ৫৭টি ওয়ার্ডে এ বছর ১১১টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পূজা উপলক্ষে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ওইসব পূজা মণ্ডপে অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়। 

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণের সভাপতিত্বে নগর ভবনে চেক বিতরণ ও মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নগর ভবনের মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সচিব মোঃ আব্দুল হান্নান, কাউন্সিলর মোঃ শাহজাহান মিয়া সাজু, পুষ্প আহমেদ, গাজীপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাহিম সরকার, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অরুন কুমার সাহা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র দে, মানিক চন্দ্র দে সহ বিভিন্ন মন্দিরের নেতৃবৃন্দ। এ ছাড়াও সভায় ৫৭ টি ওয়ার্ড থেকে আগত ১১১টি পূজা মন্ডপের নেতৃবৃন্দ, সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর এবং কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভা শেষে মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) আসাদুর রহমান কিরন পূজা মন্ডপের নেতৃবৃন্দের হাতে দূর্গা পূজা উপলক্ষে প্রতিটি মন্দিরে ২০ হাজার টাকা করে মোট ২২ লাখ ২০ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন। একই অনুষ্ঠানে পরবর্তী লক্ষ্মী পূজার জন্য ৬৮ টি সম্ভাব্য মণ্ডপের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিকট ১০ হাজার টাকা করে মোট ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন। দূর্গা এবং লক্ষী পূজার জন্য মোট ২৯ লাখ টাকার চেক বিতরণ করেন।

আসাদুর রহমান কিরন বলেন, সরকারের নির্দেশনায় আজকের এই মত বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। শিববাড়ি পুকুর পরিষ্কার, বিভিন্ন মন্দিরে বিদ্যমান সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতাগুলো চিহ্নিত করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে পূজায় আগতদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মন্ডপ কমিটির নেতৃবৃন্দের প্রতি, তিনি প্রতিটি মন্দিরে স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠনসহ সিসিটিভি স্থাপনের অনুরোধ করেন।

তিনি বলেন, আমরা সিটি করপোরেশনের এই ১০ মাসে ৭৪ কোটি টাকা ব্যয় কমিয়েছি। বর্তমানে সিটি করপোরেশনের ১০০শত কোটি টাকা রিজার্ভ রয়েছে। এর ধারাবাহিকতা থাকলে ভবিষ্যতে আর কোন সমস্যা থাকবে না। এছাড়াও পূবাইল রাস্তাসহ কয়েকটি রাস্তার ৬০ ফুট করনের কার্যক্রম ও অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া চলমান আছে। প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে মাষ্টার প্লান তৈরির কার্যক্রম চলমান রয়েছে, প্রতিমাসে সাড়ে ৮ কোটি টাকা ব্যয় কমিয়েছি, খোব শিগ্রই অনেক গুলো উন্নয়ন কার্যক্রম দৃশ্যমান হবে। পরে তিনি নেতৃবৃন্দের নিকট চেক তুলে দেন।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ। এখানে আমরা সব ধর্মের মানুষ মিলে মিশে একসাথে সকল অনুষ্ঠান এবং আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়ে থাকি। ধর্ম যার যার উৎসব সবার। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে এবং ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বঝায় রেখে শারদীয় দুর্গাপূজার সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে।

(এস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২)