স্টাফ রিপোর্টার : ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু বলেছেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এর মধ্যদিয়ে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর নীলনকশা তৈরি করেছিল পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা।’

তিনি বলেন, ‘তাদের ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি। দেশকে সমৃদ্ধির পথ দেখান জননেত্রী শেখ হাসিনা। কিছুদিন আগে জাতিসংঘ তাকে বিশ্বের সেরা তৃতীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে ভূষিত করেছে।’

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘তিমির হননের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন’ উপলক্ষে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’র উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

ডেপুটি স্পিকার বলেন, বিশ্বে এমন নজিরবিহীন জঘন্য হত্যাকাণ্ডের পর নিজের পরিবারকে হারিয়ে হয়তো কেউই দেশে ফেরার সাহস পেতেন না। বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেই তিনি পিতার আজন্ম স্বপ্নকে বাস্তবায়ন ও দেশ পুনর্গঠনে দেশে ফেরেন। শত বাধা পেরিয়ে ধীরে ধীরে দেশকে নিয়ে যাচ্ছেন সমৃদ্ধির পথে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কক্ষপথে।

শামসুল হক টুকু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রীতির শিক্ষা পেয়েছেন তার পরিবার থেকে। তার পরিবার সারাজীবন অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে লড়াই করে গেছেন। বিশ্বনেত্রী যে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন, তা যেন তিনি নিজ হাতেই করে যেতে পারেন।

সভা শেষে পাবনা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, ভাষা সংগ্রামী মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও কলামিষ্ট রণেশ মৈত্রের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যের সমবেদনা জানাতে ধানমণ্ডির বাসভবনে যান শামসুল হক টুকু।

আলোচনায় প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান।

‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’র আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যয়ের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব অধ্যাপক মামুন আল মাহতাবের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন অধ্যাপক হারুন অর রশিদ, ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়া, সাবেক তথ্য কমিশনার অধ্যাপক সাদেকা হালিম প্রমুখ।

(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২)