সোহেল রানা, শেরপুর : সারা দেশের ন্যায় শেরপুরে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস পালিত হয়েছে। ‘জলাতঙ্ক: মৃত্যু নয়, সবার সাথে সমন্বয়’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিবসটি পালন করা হয়। আজ বুধবার সকালে শেরপুর ২৫০ শষ্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের হলরুমে জেলা সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়। পরে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদিক্ষিণ করে।

শেরপুর সিভিল সার্জন ডাঃ অনুপম ভট্টাচার্য্যের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন বিএমএ’র সভাপতি ডা. মো. আব্দুল বারেক তোতা, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো. মোস্তাফিজুর রহমান, প্রাণিসম্পদ দপ্তরের জেলা ট্রেইনিং অফিসার মো. রেজওয়ানুল হক ভূঁইয়া, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. সানাউল মোর্শেদ, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোবারক হোসেন, সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. হামিদুর রহমান, সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা পলাশ কান্তি দত্ত ও শেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে সিভিল সার্জন বলেন, জলাতঙ্ক র‌্যাবিস ভাইরাসজনিত একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। র‌্যাবিস ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত কুকুর রোগটির প্রধান বাহক। এছাড়াও অন্যান্য প্রাণি যেমন বিড়াল, শিয়াল, বেজি, বানরও রোগটি ছড়াতে পারে। বর্তমানে বিশ্বে বছরে ৫৯ হাজার মানুষ এ রোগে মারা যায়। রোগের লক্ষণ একবার প্রকাশ পেলে মৃত্যু নিশ্চিত। তবে সময়মত অর্থাৎ কামড় বা আঁচড়ের সাথে সাথে আক্রান্ত স্থান সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে পূর্ণ ডোজ টিকা গ্রহণের মাধ্যমে রোগটি শতভাগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশসহ এশিয়ার ১২টি দেশে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস পালন করা হয়। বিজ্ঞানী লুই পাস্তর ২৮ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এই মহান বিজ্ঞানী মৃত্যুর পূর্বে জলাতঙ্কের টিকা আবিষ্কার করেছিলেন। তার এই অবদানকে পৃথিবীর বুকে অবিস্মরণীয় করে রাখতে এবং এ রোগের ভয়াবহতা অনুধাবন করে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশেও ২০০৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে।

(এসআর/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২)