রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বড়কুপট গ্রামের উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নব্য এমপি লীগার অবৈধভাবে নদীর বালু উত্তোলন করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। অভিযোগ, তিনি স্থানীয় এক বড়মাপের জনপ্রতিনিধির সুন্দরবন বিষয়ক কর্মকর্তা পরিচয়ে আবার কখনো সাংবাদিক পরিচয়ে এ কাজ করে যাচ্ছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েকবার তাকে জরিমানা করা হলেও থেমে নেই তার অপকর্ম।

বড়কুপট গ্রামের দীপঙ্কর মণ্ডল জানান, আব্দুর রহমান বাবু সাবেক উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হলেও তিনি স্থানীয় বড় মাপের জনপ্রতিনিধিল কাছের লোক বলে পরিচিত। হেন অপকর্ম নেই যে তিনি করেন না। তার বসত ভিটার পাশে দুই বছর আগে একরামুল হোসেন ও হুমায়ুন গাজীর জমি লিজ নিয়ে তাতে সরাসরি নদী থেকে মেশিনের মাধ্যমে বালিযুক্ত লোনা পানি তুলে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন ওই আব্দুর রহমান। লোনা পানি ও বালি উত্তোলন করায় তার বসত ভিটায় মিষ্টি পানির পুকুর লবনাক্ত হয়ে গেছে। এ ছাড়া বাড়ির উঠান, সবজি খেত, রান্না ঘর, মুরগির খামার, তুলসী তলা পানির নীচে ডুবে গেছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় ঘরের বারান্দায় পানি ওঠার উপক্রম। গোসল করা ও ঘর থেকে বের হওয়া মুশকিল হয়ে উঠেছে। দুষ্কর হয়েছে বসবাস করা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। গায়ের জোরে বালি ও পানি উত্তোলন করার প্রতিবাদ করলে তাকে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বাবু। এর প্রতিকার না হলে তাকে অন্যত্র চলে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকবে না।

দীপঙ্কর মণ্ডল আরো জানান, নওয়াবেকি গণমুখী ফাউণ্ডেশনের সমৃদ্দি বাড়ি প্রকল্পের অধীনে তার বাড়িটি প্রথম হওয়ায় এটিএন বাংলা টেলিভিশনে প্রচার করে। এনিয়ে একটি বইও প্রকাশ করা হয়। সেই বাড়িটি এখন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। প্রতিকার চেয়ে তিনি শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন মঙ্গলবার।

তবে আব্দুর রহমান বাবুর সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি রিসিভ করেননি। তবে তার কাছের লোক বলে পরিচিত আবু হাসান জানান, এমপি সাহেবের ডাকে তিনি বিশেষ কাজে গেছেন। বোঝেন তো--- ভাইকে কত ব্যস্ত থাকতে হয়। বর্তমানে ধুমঘাটের নরেন্দ্রনাথ মুণ্ডা হত্যা মামলার আসামীদের জামিন করানো ও পুলিশ যাতে আসামীদের না ধরে সেজন্য তদ্বির তাগাদায় ব্যস্ত থাকেন ।

(আরকে/এএস/সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২)