স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে করোনার টিকাদান কর্মসূচির বিশেষ ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দেশজুড়ে এই টিকাদান কর্মসুচি শুরু হয়, যা চলবে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত।

এ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম জানান, বিশেষ টিকাদান কর্মসূচিকে আরও উজ্জীবিত করতে চাচ্ছি। দেশে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা এরই মধ্যে অর্জিত হয়েছে। মোট জনগোষ্ঠীর ৯৭ শতাংশ মানুষ টিকার প্রথম ডোজ, ৯০ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ এবং ৪১ শতাংশ তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। এই বিশেষ কর্মসূচি বিশেষ করে তাদের জন্য যারা এখনো টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া থেকে বাকি রয়েছেন।

যারা এখনো টিকার বাইরে রয়েছেন, চলমান টিকা কর্মসূচিতে তাদের টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম।

এই টিকাদান কর্মসূচি আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, এরপর থেকে আর টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে না। তবে বুস্টার ডোজ চলবে। এরপর টিকা না দেওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, টিকার স্বল্পতা রয়েছে, সঙ্গে কিছু টিকার মেয়াদও শেষ হয়ে যাবে।

কোন কোম্পানির টিকার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব টিকা একসঙ্গে আসেনি। ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন টিকা এসেছে। তাই সব টিকার মেয়াদই শেষ হয়ে যাচ্ছে-বিষয়টি এমন নয়। বর্তমানে তিন কোটি টিকা হাতে রয়েছে।

টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়া হবে কি না প্রশ্নে অধ্যাপক খুরশীদ আলম বলেন, চর্তুথ ডোজ নিয়ে এখনো কোনো পরিকল্পনা হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এখনো নির্দেশনা দেয়নি। যেসব দেশে চতুর্থ টিকা দেওয়া হচ্ছে তারা নিজেদের দেশের প্রটোকল মেনে এটা দিচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যদি নির্দেশ দেয়, তাহলে তখন সেটা করা হবে।

আগামী ১১ অক্টোবর থেকে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকা কার্যক্রম শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ টিকাদান কর্মসূচিতে ৭৮ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছিল বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

দেশে সম্প্রতি করোনার ঊর্ধ্বগতি ফের বেড়েছে জানিয়ে অধ্যাপক খুরশীদ আলম বলেন, সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। যদিও মৃত্যুহার এখনো অনেক কম। আর এর কারণ টিকা নেওয়া।

এ সময় কোভিড টিকাদান কর্মসূচি কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক বলেন, টিকা এখনো আমাদের পাইপ লাইনে রয়েছে, কিন্তু হাতে থাকা টিকা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেগুলো আনা যাবে না।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলামসহ অন্যরা।

(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২)