নওগাঁ প্রতিনিধি : বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় ছিল যুবদলের ক্যাডার। করতো প্রতারণা আর চাঁদাবাজি। সাধারণ মানুষের আশা ছিল আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে তার সব অন্যায়ের বিচার হবে। কিন্তু অসহায় মানুষের সেই আশা পূরণ হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসতেই ভোল পাল্টে যুবদল থেকে এক লাফে যুবলীগে ঢুকে পড়ে সেই প্রতারক।  তার কার্যকলাপে অতীষ্ঠ এলাকাবাসী। একপর্যায়ে নিজের পরিচয় দেয়া শুরু করে সাংবাদিক হিসেবে। এখন এসব ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে চাঁদাবাজি আর প্রতরণা করে টিউবয়েল মিস্ত্রি থেকে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে সে। বলছি নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভোঁপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু হান্নানের আবুর কথা। বহুরুপী এই প্রতারক উপজেলার মহাদীঘি গ্রামের মকবুল খাঁর ছেলে। ৮ম শ্রেণি পাশ আবু হান্নানের ফেসবুক আইডির নাম ‘সাংবাদিক এবি হান্নান’। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, আবু হান্নান আবু কখনো সাংবাদিক পরিচয়ে, কখনোবা দলীয় ক্ষমতার দাপটে চাঁদাবাজি করে আসছে। দাবিকৃত চাঁদা না দিলে চরম হয়রানির শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে। তার অপকর্মের কারণে আত্রাইয়ের সকল সাংবাদিকেরই সুমান ক্ষুন্ন হচ্ছে। তার চাঁদাবাজির হাত থেকে অসহায় বিধবাও রেহায় পায়নি। হান্নানের আসল কাজই হলো বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অসহায় মানুষের কাছ থেকে থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়া।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা জানিয়েছেন, আবু হান্নান আবু ছিল যুবদলের ক্যাডার। যুবদল নেতা হিসেবে তার লাগানো পোস্টারের ছবি এখনও স্থানীয় লোকজনের কাছেই আছে। কিন্তু পরে আত্রাই উপজেলার কিছু অসাধু নেতার সহায়তায় যুবলীগে পদ বাগিয়ে নেয় যুবদল ক্যাডার এই আবু। এরপর থেকেই সে বিভিন্ন অপকর্ম করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় আরো অনেক অসহায় মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু অদৃশ্য কারণে উপজেলা চেয়ারম্যান মো: এবাদুর রহমান প্রামানিক ভুয়া সাংবাদিক আবু হান্নানের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ ধামাচাপা দিতে সহায়তা করেছেন। এতে আরও সাহস বেড়ে গেছে আবুর। এখন সে নিজেকে উপজেলা চেয়ারম্যানের এপিএস, যুবলীগ নেতা ও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে পুরো উপজেলা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

এ বিষয়ে আত্রাই উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক হামিদুল হক বাবু বলেন, আবু হান্নান এক সময় আমার কর্মী ছিল।
অন্যদিকে আবু হান্নান নিজেকে ‘দৈনিক আমার বাংলা’ নামে একটি পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে দাবি করে উপজেলা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

সিলেট থেকে প্রকাশি সেই অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক সিদ্দিকী বলেন, আমাদের পত্রিকার কার্যক্রম ২ বছর ধরে বন্ধ। আর আত্রাই কেন, দেশের কোনো উপজেলাতেই আমরা কোনো সাংবাদিককে নিয়োগপত্র কিংবা আইডি কার্ড দেইনি। যদি কোনো প্রতারক এই পরিচয় দিয়ে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করা হবে।

(বিএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২)