কাজী হাসান ফিরোজ, বোয়ালমারী : ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রায়পুর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্বশস্ত্র হামলায় কামাল মোল্লা নামে এক যুবক আহত হয়। আহত কামাল মোল্যা (৩০) কে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত আনুমানিক ১২ টায় এ ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার ছোলনা গ্রামের ‍যুবলীগ নেতা আহদুল করীমের সাথে রায়পুরের সুলতান আহমেদ এর বিরোধ চলছিল। গতকাল বিকালে পুর্ব শত্রতার জের ধরে আহাদুল করীমের লোকজন সুলতান আহমদের বোয়ালমারী বাজারস্থ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সুলতান প্রিন্টার্সে এসে সুলতানের উপর অতর্কিত হামলা চালায় । এসময় উভয় পক্ষের মাঝে হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে সুলতান আহমেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আহাদুল করিমের লোকজনের বিরুদ্ধে নগদ প্রায় ১ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাৎক্ষনিক বোয়ালমারী থানা পুলিশ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনলে উভয় পক্ষ শান্ত হয়ে ফিরে যায়। বিষয়টি নিয়ে রাত আনুমানিক ১২ ঘটিকায় আহাদুল করিম সমর্থিত গ্রুপ রায়পুর গ্রামের মিজান ও সোবাহানদের সাথে উক্ত বিষয় নিয়ে সুলতান আহমেদ এর সাথে পুনরায় কথা–কাটাকাটি হয়। কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
সংঘর্ষে উক্ত গ্রামের ব্যবসায়ী মোঃ কামাল হোসেনকে্ আহাদুল করীম সমর্থিত মিজান-ছোবহান গ্রুপ এলোপাথড়ি আঘাত করলে সে মারাত্বক আহত হয়।

হাসপাতালে চিকিসাধীন কামাল বলেন, ‘আমাদের সাথে মিজান ও তার ভাই সোবহানের পুর্ব শত্রুতা থাকার কারনে সুলতান আহমেদ এর সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে পুঁজি করে মিজান ও সোবহান দলবল নিয়ে দেশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। এ সময় আমি ছাড়াও বেশ কয়েকজন আহত হন। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে মিজানদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাস থেকে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।’

বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল ওহাব বলেন, ঘটনাটি শুনে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখি। তিনি বলেন, দুইপক্ষ থেকে চারটি অভিযোগ পেয়েছি। সামাজিকভাবে মিমাংসার চেষ্টা চলছে। ব্যর্থ হলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(কেএফ/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২)