স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডকে প্লট বরাদ্দে অনিয়ম-দুর্নীতি হয়নি বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাস।

শাজাহান খানের বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘শাজাহান খানরা সরকারে আছে বলেই সব বিধি মোতাবেক, আর ক্ষমতার বাইরে আছি বলেই আমাদের সব বিধিবহির্ভূত।’

রবিবার বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। দুদকের উপপরিচালক যতন কুমার রায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

প্রকল্পের নক্সা প্রসঙ্গে সাংবাকিদরা প্রশ্ন করলে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘পছন্দমতো বা সঠিকভাবে নক্সা না হলে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় তা বাতিল করতেই পারে।’

বাজার মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে সাংবাদিকদের প্লট বরাদ্দ দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা বিধি মোতাবেক করতে বলেছি। এখন গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ যদি না করে তাহলে তো আর আমার কিছু করার নেই।’

আপনাকে হয়রানি করা হচ্ছে কী না জানতে চাইলে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের মন-মানসিকতা কী তা আপনারা ভালো করেই জানেন।’

এদিকে একই ঘটনায় নৌমন্ত্রী শাজাহান খানকে সকালে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বিধির বাইরে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডকে সাত একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে ওই সময় সাংবাদিকদের জানান তিনি। নকশা পরিবর্তন করে এ বিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে।

এদিকে দুদক উপ-পরিচালক যতন কুমার রায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘মির্জা আব্বাস শারীরিকভাবে দুর্বল ছিলেন। সব নথিপত্র তিনি দেখে গেছেন এবং দুদকের কাছে সময় চেয়েছেন। আশা করা হচ্ছে দু-একদিনের মধ্যেই তাকে আবারো ডাকা হবে।’

দুদক সূত্র জানায়, প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবিরসহ অন্যাদের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা মামলার তদন্তে নৌমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সূত্র আরো জানায়, প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে ২০০৬ সালে আলমগীর কবিরের হস্তক্ষেপে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের (এনএইচএ) কর্মকর্তারা ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডকে বাজার মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে প্লট বরাদ্দ দেন। ১৮ কোটি ৯১ লাখ ৩০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা মূল্যের সরকারি সাত একর সম্পত্তি ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যে বরাদ্দ দিয়ে সরকারের ১৫ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার ৯০০ টাকা ক্ষতিসাধনপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।

গত ৬ মার্চ রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি (মামলা নং-১১) দায়ের করা হয়। প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবির ছাড়া মামলার বাকি আসামিরা হলেন- জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য (ভূমি ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা) মো. আজহারুল হক, মুনসুর আলম ও মতিয়ার রহমান।

(ওএস/এটিআর/অক্টোবর ১২, ২০১৪)