দিলীপ চন্দ, ফরিদপুর : আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ফরিদপুরে ক্ষমতাসীন দলের 'বিদ্রোহী প্রার্থী' থাকায় জমে উঠেছে ভোটের খেলা। এই নির্বাচনে যদিও শুধু জনপ্রতিনিধিরাই ভোটার, তবু জেলার নয়টি উপজেলা চলছে ভোটের আনন্দ। জেলার ৯ উপজেলা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা মোট ১ হাজার ১৮১ জনের সমর্থন পাওয়ার লক্ষ্যে চলছে জনপ্রতিনিধি দের মন জয় করা বক্তব্য, এ লড়াইয়ে ঘাম ঝরাচ্ছেন দুই হেভিওয়েট প্রার্থী।

যদিও চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ ফারুক হোসেন (আনারস), স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান, বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ যুবলীগের অর্থ সম্পাদক মোঃ শাহাদাৎ হোসেন (চশমা), ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নূর ইসলাম সিকদার (মোটর সাইকেল)। কিন্তুু বর্তমানে ভোটের মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন প্রথম দুজনেই। অপরদিকে সংরক্ষিত পদে ১১ জন এবং সাধারণ সদস্য প্রার্থী রয়েছেন ৩৭ জন।

এ দিকে হাইকমান্ডের নির্দেশ জেলা পরিষদের নির্বাচনের কোন বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিষ্কার করা হবে না। এতে নির্বাচনে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা।

শাহাদাৎ হোসেন এ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর সাবেক সদস্য ফারুক হোসেন।

ফারুক হোসেনের পক্ষে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিদিন রুটিন করে দলবলে ছুটে যাচ্ছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। অপরদিকে এমপি নিক্সন চৌধুরীর জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে তার সমর্থক ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলার চেয়ারম্যান, এবং ২৪ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বার ও একটি পৌর সভার মেয়র কমিশনারগন রয়েছেন শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে। তার এ বাড়তি সুবিধা পেয়ে তারাও ছুটছেন জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভোটার বলেন এই বার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলিও নেতা কর্মিরা ফারুক হোসেন এর সাথে থাকলেও, বিগত নির্বাচনের আগে কিংবা নির্বাচিত হওয়ার পরে কোন চেয়ারম্যান প্রার্থী আমাদের খোজ নেই নি, আমরাও আওয়ামী লীগ করি আমরাও জননেত্রী শেখ হাসিনা কে ভালোবাসি, কিন্তুু এবারও যদি ভাংগা উপজেলা থেকে শাহাদাৎ হোসেন প্রার্থী না হতো তাহলে কোন চেয়ারম্যান প্রার্থী আমাদের খোজ নিতেন বলে মনে হয় না, তাই আমরা বুঝে শুনে ভোট দিবো, যে আমাদের সন্মান দিবে, এলাকার উন্নয়ন এর বিষয়ে আলোচনা করবেন, তাকেই আমরা আমাদের ভোট দিব।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, আগামী ১৭ অক্টোবর ইভিএম পদ্ধতিতে ফরিদপুরের নয়টি উপজেলার নয়টি কেন্দ্রে এক হাজার ১৮১ জন ভোটার ভোট দেবেন।

(ডিসি/এসপি/অক্টোবর ০১, ২০২২)