স্টাফ রিপোর্টার : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আপনারা কোনো গুজবে কান দেবেন না। গুজবের পেছনের কারণ খুঁজে বের করবেন। যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাবেন তাদের কঠিন বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে শনিবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন শেষে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সারাদেশে সব মন্দিরে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা রয়েছেন। এছাড়া আমরা পূজা উদযাপন কমিটির সবাইকে বলেছি তাদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক রাখার জন্য— যেন তারা পরিস্থিতি দ্রুতই জানাতে পারে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কাউকে আলাদা করে গুরুত্ব দেওয়া হয় না, আমরা সবাই মিলেমিশে চলতে চাই। যেটা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। প্রধানমন্ত্রীও সেটি বিশ্বাস করেন। সে জন্যই তার একটি স্লোগান সবার জানা আছে ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’। আমরা সেটাই কিন্তু আজকে পালন করছি। আজকে সারাদেশে সেই দিনটি ফিরে আসছে। আমার মনে পড়ে ছোটবেলায় আমি কোন পূজামণ্ডপের নাড়ুটা মজা হতো, কোন পূজামণ্ডপ ভালোভাবে সাজিয়েছে তা দেখার জন্য ঘুরে বেড়াতাম। সেই দিনটি হারিয়ে যায়নি বাংলাদেশে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা সেদিকেই যাচ্ছি।

তিনি বলেন, এ দেশ বাঙালির বাংলাদেশ। এখানে সবাই যার যার ধর্ম পালন করবে। আজকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় শারদীয় দুর্গাপূজা। সারাদেশে ৩২ হাজার ১৬৮ টি পূজা মণ্ডপ সাজিয়েছি। গতবার যে ঘটনা ঘটেছে এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করছি।

আমাদের যতগুলো ঘটনা ঘটেছে সবগুলো কিন্তু গুজব। আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলছি— যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে চাইবে তাদের কঠিন বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। কেউ ভুলেও এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করবেন না।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জিএল ভৌমিক বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার জন্য এ পূজা উদযাপন চলছে। ছোটকালে আমরা দেখেছি তেমন কোনো নিরাপত্তার প্রয়োজন ছিল না। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠরাই নিরাপত্তা দিতো। এখন সেই পরিস্থিতি নেই। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর এ দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা শুরু হয়েছে। আমরা দেখেছি রমনা বটমূলে হামলা। এখন কঠোর নিরাপত্তার মাধ্যমে পূজা উদযাপন করতে হয়। আমরা এমন পরিস্থিতি চাই না। আমরা সবাই মিলে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে চাই।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, আমরা আগের চেয়ে আরও বেশি নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করছি। সবাই মিলে চেষ্টা করছি পূজা যেন ভালোভাবে সম্পন্ন হয়। যেকোনো সমস্যা আপনারা পুলিশকে জানাবেন। আপনাদের পাশে পুলিশ আছে।

এসময় মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথ, সহ-সভাপতি নির্মল চ্যাটার্জী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ০২, ২০২২)