আবু নাসের হুসাইন, সালথা : ফরিদপুর-২, (সালথা-নগরকান্দা ও কৃঞ্চপুর) আসনের উপনির্বাচনে প্রয়াত আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর কনিষ্টপুত্র বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও কৃষি গবেষক শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীকে নৌকার মাঝি হিসেবে পেতে চান তৃণমূলের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

জানা যায়, এই আসনে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী দীর্ঘদিন এমপি হিসেবে ছিলেন। তিনি এই এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। লাবু চৌধুরী দীর্ঘদিন তার মায়ের সাথে সালথা-নগরকান্দার সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে কাজ করেছেন। সালথা-নগরকান্দা ও কৃঞ্চপুরের স্কুল, কলেজ, রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ ও কালভার্টসহ সকল উন্নয়নমূলক কাজে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর নাম রয়েছে। তার এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দুই উপজেলার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা লাবু চৌধুরীকে এমপি হিসেবে পেতে চান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে- সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সুযোগ্য পুত্র লাবু চৌধুরীকে নৌকার মাঝি হিসেবে দাবী করেছেন ফরিদপুর-২ আসনের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তাদের দাবী লাবু চৌধুরীর নেতৃত্বে সালথা-নগরকান্দার আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত থাকবে। সেই সাথে সাধারণ মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে বলে দাবী দুই উপজেলার আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের।

সালথা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান জুয়েল বলেন, সালথা-নগরকান্দার গণমানুষের নেত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর অবর্তমানে তার কনিষ্টপুত্র শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীর কোন বিকল্প নাই। তার সমকক্ষও কেউ নাই। সেজন্য উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে লাবু চৌধুরীকেই আমরা নৌকার মাঝি হিসেবে চাই।

উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি সেলিম মোল্যা বলেন, প্রয়াত মাননীয় সংসদ উপনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সাথে বিগত চল্লিশ বছর ধরে তার প্রতিনিধি হিসেবে সালথা-নগরকান্দায় কাজ করে আসছেন শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী। এই আসনের সকল ক্ষেত্রে সুখ-দঃখের সাথী লাবু চৌধুরী। এ কারণেই আমরা তাকে এমপি হিসেবে দেখতে চাই। আর যেহেতু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে এই এলাকায় প্রতিনিধিত্ব করতে হলে দায়িত্বশীলতার সাথে জনগনের প্রত্যাশা পূরণে একজন বিবেকবান, সচেতন, শিক্ষিত ও মার্জিত নির্লোভ, নিরঅহংকার ব্যাক্তির প্রয়োজন। এইসব গুণাবলী লাবু চৌধুরীর মধ্যেই আছে। তাকে দিয়েই সালথা-নগরকান্দার গণমানুষের কল্যাণ সম্ভাব।

উপজেলা যুবলীগের সভাপতি খায়রুজ্জামান বাবু মোল্যা বলেন, সদ্য প্রয়াত বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ, ফরিদপুর-২, আসনের বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের তৃণমূলে স্থান করে নিয়েছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেছেন। যার কারণে এই আসনের মূল আওয়ামী লীগের ৮০% নেতাকর্মী তাঁর সাথে ছিলেন। নেত্রীর মৃত্যুর পর তার পরিবার যেভাবে মানুষকে মুল্যায়ন করবে, আমার মনে হয় না অন্য কেউ সেরকম মুল্যায়ন করবে। অন্যরা যার যার আখের গোছানো নিয়ে ব্যস্ত থাকতে পারেন বলে আমার ধারনা। তাই আমরা বিশ^াস করি, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী যেভাবে সালথা-নগরকান্দার মানুষের জন্য তার সারাটা জীবন বিলিয়ে দিয়ে গেছেন, সেভাবেই তাঁর সন্তান লাবু চৌধুরী মানুষের জন্য কাজ করে যাবেন। বর্তমানে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছোট ছেলে শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমরা লাবু চৌধুরীর বাইরে কোন নেতা দেখছি না, এমনকি তার সমকক্ষ বা কাছাকাছি কোন নেতা দেখছি না। আমরা লাবু চৌধুরীর মাঝে সাজেদা চৌধুরীর প্রতিচ্ছবি দেখি। তাকে নিয়েই আমরা আগামীতে পথ চলতে চাই। আমরা বিশ^াস করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে সাজেদা চৌধুরীকে মুল্যায়ন করেছেন। সেভাবেই তার কনিষ্টপুত্র লাবু চৌধুরীকে ফেলাবেন না, দলের নমিনেশন দিয়ে তাকে মুল্যায়ন করবেন।

জেলা যুবলীগের সদস্য শওকত হোসেন মুকুল বলেন, প্রয়াত সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর কনিষ্টপুত্র, সালথা-নগরকান্দার মাটি ও মানুষের নেতা শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে ফরম জমা দিয়েছেন। আমরা শতভাগ আশাবাদী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা লাবু চৌধুরীকে মনোনয়ন দিবেন। কেন না, মায়ের সাথে লাবু চৌধুরী এই এলাকার মানুষের সেবা করেছেন। দলকে সুসংগঠিত করে রেখেছেন। মানুষ শান্তিতে থাকুক, সেজন্য রাতদিন তিনি পরিশ্রম করেছেন। লাবু চৌধুরী সালথা-নগরকান্দার গণমানুষের শান্তির দূত। আমরা লাবু চৌধুরীকেই চাই।

নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠণিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান সুইট মিয়া বলেন, ১৯৮৬ সালে যখন নগরকান্দা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম, তখন থেকেই আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কান্ডারী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সাথে রাজনীতি করি। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এই অঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। প্রয়াত নেত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সুযোগ্য সন্তান লাবু চৌধুরীকে দলের মনোনয়ন দিলে এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, এলাকার জনসাধারণ ও নেতাকর্মীরা লাবু চৌধুরীকেই নৌকার মাঝি হিসেবে চান।

সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠণিক সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান চৌধুরী সাব্বির আলী বলেন, আওয়ামী লীগের দুঃহসময়ের কান্ডারী, বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ৭৫ এর পরে দলের হাল ধরেছিলেন। সাজেদা চৌধুরী ওই সময়ে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেছেন। দলের জন্য একাধিকবার জেল খেটেেেছন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে তৎকালীন সময়ে বিদেশ থেকে দেশে আনার জন্য অগ্রনী ভূমিকা রেখেছিলেন সাজেদা চৌধুরী। সেই প্রানপ্রিয় নেত্রী সৈয়দা সাজেদা চেীধুরী আমাদের মাঝে আজ নেই। আমরা বিশ^াস করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ফরিদপুর-২ আসনের উপনির্বাচনে সাজেদা চৌধুরীর পুত্র লাবু চৌধুরীকে দলের মনোনয়ন দিয়ে মুল্যায়ন করবেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হাসান খান সোহাগ বলেন, ফরিদপুর-২, আসনের উপনির্বাচনে সালথা-নগরকান্দার উন্নয়নের রুপকার ও গণমানুষের প্রানপ্রিয় নেত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর কনিষ্টপুত্র শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীকে নৌকার মাঝি হিসেবে চাই। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তার যোগ্য উত্তসুরী হিসেবে লাবু চৌধুরীই একমাত্র কান্ডারী। লাবু চৌধুরীকে দলের মনোনয়ন দিলে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ সঠিক মুল্যায়ন পাবে। শুধু তাই নয় লাবু চৌধুরী এমপি হলে এলাকায় আরো উন্নয়ন হবে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামান মিয়া বলেন, যখন যুবক ছিলাম, তখন থেকেই বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী হাতধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। তাঁর মৃত্যুর আগেরদিন পর্যন্তও তার হাতধরেই ছিলাম। আজ সেই প্রানপ্রিয় নেত্রী আমাদের মাঝে নেই। তবে তার সুযোগ্য সন্তান শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীর মধ্যে আমরা আমাদের নেত্রীকেই দেখতে পাই। তিনিও তার মায়ের মতো আমাদের ভালোবাসেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফরিদপুর-২, আসনের উপনির্বাচনে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছোট ছেলে শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীকে দলের মনোনয়ন দেওয়ার দাবী জানাই। লাবু চৌধুরীকে মনোনয়ন দিলে, তার নেতৃত্বে সালথা-নগরকান্দার আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত থাকবে।

নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন মিয়া বলেন, বর্ষিয়ান নেত্রী, উন্নয়নের রুপকার সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর জন্যই অবহেলিত সালথা-নগরকান্দা ও কৃঞ্চপুরের মানুষ সম্মানজনক স্থানে ছিলেন। আজ তিনি আমাদের মাঝে নেই। সেজন্য আমরা তার পরিবারকে চাই। তার পরিবারের মধ্যে লাবু চৌধুরী দীর্ঘদিন তার মায়ের সাথে এই এলাকার সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে কাজ করেছেন। লাবু চৌধুরীর বলিষ্ট নেতৃত্বে নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগ আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। আমাদের প্রানপ্রিয় নেত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সুনাম ধরে রাখার জন্য এবং এই এলাকার খেটে খাওয়া মানুষের সেবা করার জন্য লাবু চৌধুরীর বিকল্প কেউ নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আহব্বান, ফরিদপুর-২ আসনের উপনির্বাচনে লাবু চৌধুরীকে নৌকার মাঝি হিসেবে দেখতে চাই। তাকে দলের মনোনয়ন দিলে আমরা সবচেয়ে বেশি খুশি হবো এবং জয়লাভ করবো।

সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মিয়া বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতধরে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের রাজনীতি শুরু করেন। তিঁনি ৮৭ বছরের ৬৬ বছর আওয়ামী লীগের জন্য সময় দিয়েছেন। দলের দুর্দিনে তিনি হাল ধরেছেন। এইজন্য শুধু সালথা-নগরকান্দা নয়, প্রধানমন্ত্রীর পরেই সারাদেশের নেত্রী ছিলেন তিনি। সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী যখন অসুস্থ ছিলেন, তখন তার কনিষ্টপুত্র শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী সালথা-নগরকান্দায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। সাজেদা চৌধুরী না ফেরার দেশে চলে যাওয়ার পর ফরিদপুর-২ আসন শুণ্য হয়ে পড়ে। সালথা-নগরকান্দা ও কৃঞ্চপুরবাসীর পক্ষ থেকে এবং সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আহব্বান জানাই, ফরিদপুর-২, আসনের উপনির্বাচনে লাবু চৌধুরীকে যাতে দলের মনোনয়ন দেওয়া হয়।

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর কনিষ্টপুত্র শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী বলেন, আমার মা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমন একজন মানুষ ছিলেন, তিনি সালথা-নগরকান্দা ও কৃঞ্চপুরের উন্নয়নের জন্য যখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে কিছু চাইতেন, তখন প্রধানমন্ত্রী বলতেন আমার ফুফু যা চায় তাই দিয়ে দেও। এভাবেই কিন্তু এই এলাকার উন্নয়ন হয়েছে। আমার মায়ের সাথে ৮৬ সাল থেকে প্রায় ২০ বছর নগরকান্দা-সালথায় কাজ করি। গত ৫বছর ধরে প্রান্তিক পর্যায়ে আমার মায়ের রাজনৈতিক প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছি। মানুষের সুখে-দুখে পাশে ছিলাম। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য মায়ের নির্দেশে আমি কাজ করেছি। দলের মনোনয়ন এর জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিবেন। তাঁর সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত। আমি আশা করি, আমি বিশ^াস করি, আমি মুল্যায়িত হবো। আমি মুল্যায়িত হয়ে নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করবো ইনশাল্লাহ।

উল্লেখ্য, সংসদ উপনেতা ও ফরিদপুর২ আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী মৃত্যুতে গত ১১ সেপ্টেম্বার এই আসনটি শুণ্য হয়ে পড়ে। প্রধান নির্বাচন কমিশন শুণ্য আসনটির জন্য ২৬ সেপ্টেম্বার তফসিল ঘোষনা করেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১০ অক্টোবর মনোনয়নপত্র জমা, বাছাই ১২ অক্টোবর ও প্রার্থীতা প্রত্যাহার ১৯ অক্টোবর। ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৫ নভেম্বর।

(এএনএইচ/এএস/অক্টোবর ০২, ২০২২)