স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ সরকার শিশুদের কল্যাণে এবং তাদের আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপযোগী করে গড়ে তুলতে সবরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, শিশুদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও বিনোদন নিশ্চিত করতে আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। শিশুদের বুকে বড় হওয়ার স্বপ্ন জাগিয়ে দিতে হবে। এজন্য চাই সবার মিলিত প্রয়াস।

সোমবার (৩ অক্টোবর) ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২২’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব শিশুর প্রতি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের অন্যতম অনুস্বাক্ষরকারী দেশ। জাতিসংঘ কর্তৃক ১৯৮৯ সালে শিশু অধিকার সনদ ঘোষণার বহু পূর্বেই ১৯৭৪ সালে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে বাংলাদেশে শিশু আইন প্রণীত হয়। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন শিশুর সুরক্ষা ও সার্বিক উন্নয়ন ছাড়া সমৃদ্ধ জাতি গঠনের ভিত্তি নির্মাণ সম্ভব নয়। আমাদের সরকার জাতির পিতার সেই অনুপ্রেরণায় উন্নয়ন ও সুরক্ষার বিভিন্ন কার্যক্রমের সঙ্গে ‘জাতীয় শিশুনীতি-২০১১’, ‘শিশু আইন-২০১৩’, ‘বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭’ প্রণয়ন করেছে। এছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শিশু দিবস উদযাপন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পুনর্বাসন এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের বিকাশে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের শিশুরা এগিয়ে চলেছে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে, কিন্তু কিছু সামাজিক কুপ্রথা শিশুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে বাল্যবিবাহের ফাঁদে পড়ে মেয়েশিশু ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আগামী অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। এ বিষয়ে সরকার সচেতন রয়েছে। আইন হয়েছে বাল্যবিবাহ রোধে।

শুধু সরকারি পদক্ষেপই যথেষ্ট নয়। শিশুর যাবতীয় অধিকার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পিতা-মাতা, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রসহ সবার দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন অত্যন্ত জরুরি। আমি সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাসহ সব সচেতন নাগরিক এবং অভিভাবকদের প্রতি শিশুদের সামগ্রিক কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমি ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২২’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ০৩, ২০২২)