এম এ হীরা, গোয়ালন্দ : বিজয়া দশমী পাঁচ দিনের শারদ উৎসবে বেজেছে বিদায়ের সুর।সকালে দেবীবরণ, তারপর সিঁদুর খেলার মধ্য দিয়ে বিদায়পর্বের সূচনা। ভক্তদের শ্রদ্ধা ও আনন্দমাখা অশ্রুতে, আগামী বছর আবারো দেবীকে ফিরে পাবার প্রার্থনা।

পুরাণ মতে, আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের দশমী তিথিতে বাপের বাড়ি ছেড়ে কৈলাসধামে ফিরে যান দেবী দুর্গা। বিজয়া দশমীর দিনটি হলো অশুধ ও অন্ধকার অবসানের দিন, জয়ের দিন, আনন্দের দিন। প্রীতি ও সম্প্রীতির দিন।দশমী বা বিজয়া দশমীর দিনে দেবী দুর্গা কৈলাসে পতিগৃহে ফিরে যান। পুরাণে আছে, ৯ দিন ৯ রাত মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধ হয় দশভূজা দুর্গার। দশমীর দিনে মহিষাসুর বধ করেন দেবী দুর্গা। অধর্মের ওপর ধর্ম ও অসত্যের ওপর সত্যের জয়ের দিন এটি।দেবী দুর্গা নারীর অন্তরের শক্তির প্রতীক। অসুর রূপী যত অশুভ, অন্যায়, অত্যাচারকে নাশ করে শুভশক্তি ও শুভবোধের জাগরণের প্রত্যাশার প্রতীক। বিজয়া দশমীর সকালে আচার আনুষ্ঠানিকতা শেষে ঘট বিসর্জন।

বিজয়ার দিনে গোয়ালন্দ উপজেলার কয়েকটি পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেন এবং ২৩ টি পুজা কমিটির সভাপতি /সাধারণ সম্পাদকের নিকট নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থ সহায়তা প্রদান করেন আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী এম পি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুব মহিলা লীগ রাজবাড়ী জেলা শাখার সভাপতি কানিজ ফাতেমা চৈতী। আরো উপস্থিত ছিলেন গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা মুন্সি গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লবে ঘোষ এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

এর পরপরই নারী ভক্তরা দেবী দুর্গার সামনে সিঁদুর খেলেন। লালে রঞ্জিত ভক্তকূলের বিজয়োল্লাসে প্রতিফলিত হয় অন্তরের প্রশান্তি।

(এমএএইচ/এএস/অক্টোবর ০৫, ২০২২)