রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : ‘মা দুর্গা ময় কি, আসছে বছর আবার এসো’ ভক্তদের এমনসব স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে আকাশ ও বাতাস।  “ঠাকুর থাকবে কতক্ষণ, ঠাকুর যাবে বিসর্জন” ঢাক , ঢোল ও কাঁসির আওয়াজ ও প্রতিমা বিসর্জণের মধ্য দিয়েই বুধবার শেষ হলো সনাতন হিন্দুধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপুজা।

বিজয়া দশমী উপলক্ষে বুধবার সকাল থেকে মণ্ডপে মণ্ডপে উপস্থিত থাকা ভক্তদের মধ্যে ছিল বিষাদের সুর। সকালে যাত্রামঙ্গলের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মা দুর্গাকে বিদ্যায়ের বার্তা। পঞ্জিকা মতে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে বিজয়া দশমী পুজা শেষ হয়। এরপর থেকে মায়ের পায়ে ফুল, বেল পাতা ও চন্দন দিয়ে আশীর্বাদ নেওয়া শুরু হয়। মায়েরা মায়ের কপালে ছাড়াও একে অপরের কপালে সিঁন্দুর পরিয়ে দেন। দুপুরে বিসর্জন দেওয়া হয় দর্পণ। ভক্তরা মণ্ডপে মণ্ডপে আহবান জানান আগামি বছরে মাকে আবার আসার জন্য। তারা মায়ের কাছে আহবান করেন যাতে পৃথিবীর সকল সৃষ্ট জীব যেন ভাল থাকেন।

বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ চন্দ্র ঘোষ বলেন, জেলায় ৫৯৯টি মণ্ডপে সার্বজনীন ও পারিবারিক দুর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুজা শুরুর আগে দুটি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর করা হলেও স্বেচ্ছোসেবক ও প্রশাসেন কঠোর নজরদারিতে কোন অঘটন ছাড়াই পালিত হয়েছে দুর্গাপুজা।

এবার দেবহাটার ইছামতী নদীতে এপার বালা ও ওপার বাংলার মিলন মেলা হয়নি উল্লে­খ করে তিনি বলেন, আগমিতে বাংলাদেশ অসা¤প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে বলে তিনি আশাবাদি। সীমান্তবর্তী বসন্তপুর ত্রিমোহিনীতে এবার একটি প্রতিমা বিসর্জণ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

(আরকে/এএস/অক্টোবর ০৬, ২০২২)