দীপক চন্দ্র পাল, ধামরাাই : প্রতিমা বির্সজনের মধ্য দিয়ে শারদীয়া দূর্গা পূজা উৎসবে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। ধামরাইয়ে মন্দির গুলিতে এখন শোন সান নিরবতা বিরাজ করছে। বির্সজন মেলায় অগণিত মানুষের ঢল নামে ধামরাই মাধব বাড়ি ঘাট এলাকায় মেলাঙ্গনে। এবারের শারদীয় উৎসব শান্তিপুর্ন ভাবে শেষ হয়েছে বলে পুজা কমিটি ও পুজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এবার ঢাকার ধামরাই উপজেলার ৪১ টি পৌর সভায় সহ ১৬ টি ইউপির বিভিন্ন স্থানে ২০৩ টি মন্দিরে শারদীয়া দূর্গোৎসব শান্তিপূর্ণ ভাবে অনূষ্ঠিত হয়েছে।ধামরাইয়ে পৌর এলাকায় কায়েৎ পাড়া সুকান্ত বণিকের অষ্ট ধাতুর প্রতিমাটি ছাড়া ২০২ টি প্রতিমা বির্সজন সম্পন্ন হয়েছে। এই অষ্ট ধাতুর প্রতিমাটি ৫২০ কেজি ওজন। এর ময়ল্য হবে প্রায় পয়ত্রিশ লাখ টাকা। প্রতি বছর এই প্রতিমা দিয়েই শিল্পী সুকান্ত দেবীর পুজার আয়োজন করেন।প্রতিমা টি তৈরী করতে সুকান্ত বনিকের সময় লেগেছে ৫ বছরের বেশী।

ঢাকার ধামরাইয়ে প্রতিমা বির্সজন উৎসব বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। বুধবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় বংশী নদীর ধামরাই মাধব বাড়ির ঘাট এলাকায় মেলা। প্রতিমা বির্সজন দিতে রাত সাড়ে আটটায় থেকে একে একে পর্য়ায় ক্রমে নৌকায় তুলেন পুজারীরা। গভীর রাতে বংশী নদীর বিভিন্ন এলাকায় চলে প্রতিমা বির্সজন

প্রতিমা বির্সজন মেলায় শিশু ও নারীদের উপস্থিতি ও দেবীকে অর্চনা শেষে বিদায় দিতে বির্সন স্থলে আসে লাখো ভক্ত নার নারী ও সব শ্রেণী পেশার মানুষ।

বির্সজন উৎসব উপলক্ষ্যে বির্সজন স্থলে এক আলোচনা ও বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় সভার আয়োাজন করে পুজা কমিটি। ধামরাই উপজেলা শাখার পূজা উদযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক নন্দ গোপাল সেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধামরাইয়ের এমপি আলহাজ্ব মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদ। আরো উপস্থিত ছিলেন ধামরাইয়ের সাবেক এমপি আলহাজ্ব এম এ মালেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল ইসলাম.উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী,ধামরাই পৌর মেয়র গোলাম কবীর মোল্লা প্রমূখ।

বুধবার বিকেলে শোভা যাত্রার মাধ্যমে একে একে সব প্রতিমা গুলি বিভিন্ন মন্ডপ থেকে বিকেল সাড়ে পাচটার পরে বের করে বাহিরে আনেন।এর পর আরতি ও মাকে বিদায় জানিয়ে শোভাযাত্রার আগে সব বয়সের নারীরা সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেন।

সন্ধ্যায় ভ্যানে ও গাড়িতে করে মাধব বাড়ি ঘাটে এনে স্থাপন করে পুজারীরা।

বংশী নদীর মাধব বাড়ি ঘাটে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে বির্সজন মেলা জমে উঠেছে ।শত শত দোকান প্রসার বসেছে মেলাঙ্গন জুড়ে। সন্ধ্যায় আরতি পুজা ও পূজার্চনা শেষে প্রতিমা গুলি নৌকায় তুলে নিয়ে রাত বংশী নদীতে প্রতিমা বির্সজন করা হয়।

পৌর সভার পক্ষ থেকে প্রতি বছরের মত এবারো বির্সজন স্থল ও মেলাঙ্গন লাটিংয়ের কাজ পরিবেশ সুন্দর করে দেয়।পুজায় এমপি বেনজীর আহমদ ও সাবেক এমপি এম এ মালেক, ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী, উপহেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোহাদ্দেছ হোসেন,ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন, ধামরাই পৌর মেয়র গোলাম কবীর মোল্লাম সহ রাজনৈতিক নের্তৃবৃন্দ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা পুজা উৎসবে মন্দিরে মন্দিরে ঘুরে দেখেছেন।

সার্বজনীন এই উৎসব সুন্দর পরিবেশে পুলিশ সহ র‌্যাব ,আনসার ও অন্যান্য সংস্থার সদস্যরা কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার চাদরে ঢেকে রাখে। এবার ঢাকার ধামরাই উপজেলার ৪১ টি পৌর সভাসহ ১৬ টি ইউপির বিভিন্ন স্থানে ২০৩ টি মন্দিরে শারদীয়া দূর্গোৎসব শান্তিপূর্ণ ভাবে অনূষ্ঠিত হয়েছে।

(ডিসিপি/এএস/অক্টোবর ০৬, ২০২২)