স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা কেন যাবে না- এ প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শোক র‌্যালিপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রশন্ তোলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, জনগনের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে আমাদের নেতাকর্মীরা পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। ঘরে ঘরে গিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। নির্যাতন, মামলার পরও সরকার বিএনপির আন্দোলন দমাতে পারেনি।

তিনি বলেন, রক্ত ঝরছে, প্রয়োজনে আরও রক্ত দিয়ে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। আওয়ামী লীগ সরকার সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।

‘দুর্নীতি, লুটপাটের খবর ধামাচাপা দিতে সরকার ২৯টি প্রতিষ্ঠানে তথ্য সংগ্রহে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ সরকার এখন জনগনের কাছে বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের আর সময় দেওয়া যায় না। আর পেছানো নয়, বাধা-বিপত্তি এড়িয়ে সামনের দিকে এগোতে হবে। সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।

এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করা হবে। সরকারের পতন নিশ্চিত করা হবে।

সম্প্রতি দেশব্যাপী আন্দোলন-সংগ্রামে নিহত নেতাকর্মীদের স্মরণে শোক শোভাযাত্রা করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি। শোভাযাত্রাটি নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আরামবাগ হয়ে আবারও কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

শোক র‌্যালিতে আরও উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমান, মো. আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মীর সরফত আলী সপু, শিরিন সুলতানা, মৎস্যজীবী দলের মো. আব্দুর রহিম, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আব্দুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, রাজীব আহসান, শ্রমিক দলের মো. আনোয়ার হোসাইন, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, ছাত্রদলের রাশেদ ইকবাল খানসহ বিভিন্ন পর্যায়ে নেতারা।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ০৬, ২০২২)