মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : নোয়াখালীতে চাঞ্চল্যকর অদিতা হত্যার ঘটনার পর জেলা পু্লিশ সুপারের নির্দেশ মোতাবেক গত এক সপ্তাহে জেলার ৯ টি থানার পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখার অভিযানে অদরকারে বাইরে ঘোরাঘুরি, আড্ডা, কিশোর গ্যাং এর সাথে জড়িত, সন্ধ্যার পর বাইরে থাকায় ২০০ জনের উপরে স্কুল কলেজ পড়ুয়া কিশোর বয়সী ছেলেদের আটক দেখানো হয়েছে।

এদের যাচাই-বাছাই করে অধিকাংশের অভিভাবকদের জিম্মায় প্রদান করা হয়। এবং বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত সন্দেহে বাকিদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তবে এমন অভিযানে সাধারন অভিভাবক ও সাধারণ ছাত্ররা আতঙ্কে রয়েছে বলে সূত্রে জানা যায়।

১৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম বলেন, অপরাধ প্রবনতা কমিয়ে আনতে আমাদের এ উদ্যােগ, অভিযানের পর থেকে যত্রতত্র কিশোরদের আড্ডা এবং জনমনে আতঙ্কে কমে গেছে। পাশাপাশি বাজে আড্ডায় সময় নষ্ট না হওয়ায় কিশোররা পড়ালেখায় মনোযোগী হচ্ছে। অভিভাবকগণও তাদের সন্তানের প্রতি খেয়াল রাখতে শুরু করেছে। জনস্বার্থে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

তিনি সন্তানদের প্রতি বিশেষ নজরদারি ও খোঁজ খবর রাখতে অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানান।

অভিযানের পাশাপাশি মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ ও কিশোর কিশোরীদের অবৈধ সম্পর্কে না জড়াতে বিভিন্ন থানার পুলিশ কর্মকর্তাগণ স্কু্ল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসায় গিয়ে মানুষকে সচেতন করে তুলতে কাজ করছেন।

এই চলমান অভিযানে কিশোর গ্যাং এর দৌরাত্ম্য ও আড্ডা অনেকটা কমে এসেছে। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এই অভিযান কে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং ধারাবাহিক ভাবে অভিযান পরিচালনা করতে পরামর্শ দিয়েছেন। এমন মহৎ উদ্যােগের সাথে একাত্ত্বতা প্রকাশ করে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম, জেলা গোয়েন্দা পুলিশসহ বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জদের ধন্যবাদ জনান।

(এস/এসপি/অক্টোবর ১৩, ২০২২)