স্টাফ রিপোর্টার : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশ যত বেশি ডিজিটাল হবে, ডিজিটাল অপরাধ তত বাড়বে। ডিজিটাল অপরাধ ডিজিটাল প্রযুক্তি দিয়ে মোকাবিলা করার পাশাপাশি ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহারকারীদেরও ডিজিটাল অপরাধ মোকাবিলার প্রস্ততি থাকতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকায় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি মিলনায়তনে ‘সাইবার সুরক্ষা কী, কেন এবং কীভাবে’ শীর্ষক যুব কর্মশালা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিটিআরসি ও সাইবার ক্রাইম ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এ কর্মশালা ও আলোচনা সভার আয়োজন করে।

এ সময় মোস্তাফা জব্বার ডিজিটাল নিরপত্তা বিধানে সরকারের বিভিন্ন কৌশল ও কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, আমরা ২৬ হাজার পর্ন সাইট ও ছয় হাজার জুয়ার সাইট বন্ধ করেছি। প্রতিদিনই এমন সাইট বন্ধ করা হচ্ছে।

‘বাংলাদেশ এক সময় পর্ন ব্যবহারকারীর তালিকায় শীর্ষ দশে ছিল, সে অবস্থা এখন পাল্টেছে। এখন শত দেশের তালিকাতেও বাংলাদেশের নাম নেই।’

ডিজিটাল অপরাধ সম্পর্কে সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আজ যেসব অপরাধ নিয়ে চিন্তা করতে হয়, ২০ বছর আগে সেগুলোর অস্তিত্ব ছিল না। এখন এ অপরাধের পরিধি যুদ্ধ-বিগ্রহ পর্যন্ত পৌঁছেছে।

‘তার মানে যুদ্ধের একটি হাতিয়ার হয়ে গেছে ডিজিটালি আক্রমণ করা। এক দেশ অস্ত্র দিয়ে যেমন হামলা করে, তেমনি ডিজিটাল অস্ত্র দিয়ে হামলা করেও বিপর্যস্ত করার চেষ্টা করে।’

ডিজিটাল অপরাধ মোকাবিলায় প্যারেন্টাইল গাইডলাইন অনুসরণ ও প্রয়োগের পাশাপাশি ব্যাপক জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। সেই সঙ্গে প্রাথমিক স্তরের ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়টি পাঠ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন- সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মুস্তাফিজুর রহমান। আলোচনায় অংশ নেন- ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের প্রধান ড. তৌহিদ আই ভূঁইয়া, ডিজিটাল সুরক্ষা কর্তৃপক্ষের (ডিএসএ) পরিচালক তারেক এম বরকতুল্লাহ, পুলিশের সাইবার নিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ১৪, ২০২২)