মেহেরপুর প্রতিনিধি : মেহেরপুর জেলায় ২০৬৩ হেক্টর জমিতে আমের বাগান থেকে এবার ৩১ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও তাপদাহের কারণে অর্জিত হবেনা। সেচ ও প্রতিশোধক ওষুধ ছিটেয়েও আমচাষীরা আম ঝরেপড়া বন্ধ করতে পারছে না। ফলে এবার আমচাষীরা হতাশ। যারা এক বছর মেয়াদে বাগান কিনেছেন বাগান মালিকদের কাছ থেকে তারা লোকসানের মুখে।

মেহেরপুরের গোভিপুর, বামনপাড়া, আমঝুপি ও মুজিবনগর আম্রকানন ঘুরে দেখা যায় এবার আমের অফ ইয়ার হওয়ার কারণে আম ধরেছে কম। তারওপর আমের মুকুল আসার সময় থেকে প্রকৃতি বিমুখ। আমের মুকুল আসার সময় কুয়াশার কারণে এবার তিনদফায় আমের মুকুল এসেছে। আমের গুটি আসার সময় ঘণ কুয়াশায় গুঠি ঝরা থেকে শুরু করে এখন খরার কারণে আম ঝরে যাচ্ছে। মেহেরপুর জেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর তাপমাত্রা রেকড করেছে গত শুক্রবার ৪১.৫. শনিবার ৪২.৩ রবিবার ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আমচাষী আবদুল কুদ্দুস জানান তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে আমবাগান কেনা বেচা করে আসছেন। এমন বিপর্যয় এই কুড়ি বছরে তিনি দেখেননি। ঝাউবাড়িয়া গ্রামের আমচাষী শাহবাজ উদ্দীন, আমঝুপি গ্রামের আবদুর রাজ্জাক মাষ্টার জানান পেসার স্প্রে মেশিন দিয়ে গাছের মগডালেও তারা পানি স্প্রে করছেন। প্রতিদিন তারা আমের বাগানে সেচ দিয়েও আমের ঝরে পড়া ঠেকাতে পারছেন না। মেহেরপুর জেলায় প্রতিদিন অন্তত এক হাজার মন আম ঝরে যাচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালম চৈতন্য কুমার দাস জানান মারাত্মক খরার কারণেই আম ঝরে যাচ্ছে। এসময় অনেক আমচাষী দিনের বেলা বাগানে সেচ দিচ্ছে। এতে করে আরও বেশী করে আম ঝরে পড়ছে। ঝরেপড়া ঠেকাতে মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সেচ দেয়া যেতে পারে। তবে পরেরদিন অতিরিক্ত তাপমাত্রার হলে আমঝরা ঠেকানো যাবে না।

টিএ/এটি/এপ্রিল ২৮, ২০১৪)