লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : সারা দেশের নদীতে ৫ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ১১ দিন ইলিশ মাছ ধরা নিষিদ্ধ। এজন্য স্থানীয় প্রশাসন মাছ ধরা প্রতিরোধে মেঘনা নদীর পাড়ে কিছু তৎপরতা চালায়।

ইলিশ রক্ষায় জেলেদের সচেতনা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্থানীয় জেলে সমিতি, উপকূলনীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলার প্রশাসনের কড়া নজরদারীর তৎপরতার সাথে রায়পুরে কোষ্টগার্ড মোতায়েন থাকায় নদীতে জেলেদের মাছ ধরা কমেছে। এতে ইলিশের ভরা প্রজজন মৌসুমে গত তিন-চার বছরের তুলনায় এ বছর মেঘনা উপকূলনীয় রায়পুর উপজেলায় জেলেদের মাছ ধরা কমেছে ৬০ থেকে ৭০ ভাগ।

গত কয়েক দিন সরজমিনে মেঘনা নদী এলাকার কয়েটি ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ঘাটগুলোতে গত বছর যে ভাবে অবাধে ইলিশ মাছ বেচাবিক্রি করছে সেখানকার অসাধু কিছু জেলেরা। ওই ঘাটগুলোতে এখন দিন রাতেই বন্ধ থাকে। এতে আগের মত ইলিশ নিতে আসা জেলার বিভিন্নস্থান থেকে শতাধিক মোটরসাইককারীরা এখন ফিরে আসে খালি হাতে।

লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য জীবী সমিতির সভাপতি মোস্তফা বেপারী জানান, মাছ ধরা নিষিদ্ধকালিন সময় যাতে জেলেরা মাছ ধরতে না পারে তার জন্য উপকূলনীয় দক্ষনি চরবংশী, উত্তর চরবংশী ও চরআবাবিল ইউনিয়নে এ বছর জেলেদেরকে নিয়ে ৯ সদস্য বিশিষ্ট ইউনিয়নর কমিটি ঘটন করা হয়েছে। এতে বিগত বছরগুলোর চেয়ে এ বছর নদীতে মাছ ধরা ৭০ ভাগ ধরা কমেছে।

উপকূলীয় ইউনিয়নের বাসিন্দা ও উপজেলা চেয়ারম্যান মাষ্টার আলতাফ হোসেন হাওলাদার জানান, ইলিশ রক্ষায় জেলেদের সচেতনতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বছর কোষ্টগার্ড মোতায়েন করায় নদীতে জেলেদের মাছ ধরা অনেক কমেছে। এছাড়াও তিনি নিজেই প্রতিটি মাছঘাটে গিয়ে এসময় ঘাটগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ নিয়ে আসেন।

যোগাযোগ করা হলে রায়পুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, মাছ ধরারত অবস্থায় গত ৯দিনে ২১ জেলেকে আটক করে জেল ও জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও ৬টি মাছ ধরার নৌকাসহ ৫ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে।

(এমআরএস/এএস/অক্টোবর ১৩, ২০১৪)