সোহেল সাশ্রু, কিশোরগঞ্জ : বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা চিরতরে বন্ধসহ ২০১৮ সালে নির্বাচনে সরকার দলীয় নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে গণঅনশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২২ অক্টোবর শনিবার সকাল ১০টার দিকে ভৈরব পৌরসভার সামনে পৌর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও পূজা উদযাপন পরিষদ ভৈরব উপজেলা শাখার আয়োজনে এ গণঅনশন পালন করা হয়।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ভৈরব উপজেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ শ্রীমন্ত লাল পাল এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, ভৈরব পূজা উদযাপন কমিটি সভাপতি অধ্যাপক জিতেন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পাল, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ভৈরব উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. বাবুল আচার্য্য, বাবু ভূপতি সূত্রধর, অধ্যাপক বাবু দ্বিপক সাহা, অ্যাডভোকেট নিতাই দেবনাথ প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার, মন্দির ভাংচুর, বাড়ি-ঘরে অগ্নি সংযোগসহ লুটপাট করা হয়েছে। তাদের একটির বিচারও করা হয়নি। তাদেরকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জন্য বক্তারা জোর দাবী জানান। দেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও আমরা সংখ্যালঘু রয়ে গেলাম। স্বাধীনতার সময় আমাদের পরিচয় ছিল আমরা বাঙালি, এখন আমরা সংখ্যালঘু। এ বৈষম্যতা দূর করার জন্য সরকারির প্রতি উদ্বাত্ত আহ্বান জানান।

এ সময় বক্তারা ২০১৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে সরকার দলের প্রতিশ্রুতি ছিল সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, বৈষম্য বিলুপ্ত আইন প্রণয়ন, দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন যথাযথ বাস্তবায়ন, পার্বত্য শক্তিচুক্তি ও পার্তব্য ভূমি কমিশন আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন, সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন, বাহাত্তরের পূর্ণাঙ্গ সংবিধান পুনপ্রবর্তন করা, ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ রক্ষা করা, ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠির জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ হিন্দু জনগোষ্ঠি নিশ্চিহ্নকরণ প্রক্রিয়া বন্ধ করার দাবিগুলো তুলে ধরেন।

(এসএস/এএস/অক্টোবর ২২, ২০২২)