মাগুরা প্রতিনিধি :আদালতে দায়ের করা মামলা জনিত পূর্ব বিরোধের জের ধরে মহম্মদপুরের বড়রিয়া গ্রামে গতকাল সোমবার দু’দল গ্রামবাসীর ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে।  এতে ২৫ জন আহত ও ৩০ টি বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর লুটপাটের ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ৩৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। পুলিশের ধর পাকড়ের ভয়ে গ্রামে পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, এক বছর আগে বড়রিয়া গ্রামের বাসিন্দা আতিয়ার কাজীর আমেরিকা প্রবাসী ছেলে সাহাবুর রহমান কাজীর বিয়ে হয়। গ্রাম্য দলাদলির কারণে এই বিয়েতে তাদের প্রতিবেশি শাহজাহান সরদারের লোকজনকে দাওয়াত না দেয়ায় তারা ক্ষুব্ধ হন। এদিকে বিয়ের আগের রাতে বাড়ির সামনের কাপড়ের তোরণ অজ্ঞাত ব্যক্তিরা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় আতিয়ার কাজী সন্দেহমুলকভাবে প্রতিবেশি শাহজাহান সরদার ও তার লোকজনকে আসামী করে মামলা করেন। মামলাটি এখনো আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। পূর্বের এই মামলাটি তুলে নেয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে শাহজাহান সরদারের পক্ষ থেকে আতিয়ার কাজীর উপর চাপ দেয়া হচ্ছিল। যা নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে রবিবার শাহজান সরদারের লোকজন আতিয়ার কাজীসহ তার পরিবারের ১২ জনকে কুপিয়ে জখম করে। এ নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হলে পরদিন গতকাল সোমবার সকালে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে চলমান সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের হামলা-পাল্টা হামলায় শাহাজান সরদার, কাইউম সরদার, মইন সরদার, মুজিবর সরদার, ইমদাদ সরদার, রকিব সরদার, জাহাঙ্গির সরদার, মার্কিন সরদার, আরজু সরদার, আবজাল কাজী, আতিয়ার কাজী, আনোয়ার কাজী ও আকরাম কাজীর ৩০টি বসত ঘরে ব্যাপক ভাংচুর লুটপাট হয়। এ ছাড়া উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়। যাদের মধ্যে সামাদ (৩২), লাল মিয়া (৪৮),ডলার (২৮),রমজান (১৭) ও ইস্রাফিল (৩৫) কে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৩৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ৩৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আবারও সংর্ঘষের আশংকায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে’।
(ডিসি/এসসি/অক্টোবর১৪,২০১৪)