এ কে এম ইমরান : গত ২৪ আগস্ট শনিবার অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে সৃজনশীল লেখালেখি বিষয়ক এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। মেলবোর্ন ভিত্তিক সংগঠন ‘পরবাসী মন আমার’-এর আয়েজিত এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন বাংলা ভাষাভাষী তেইশ জন বিভিন্ন পেশার মানুষ। সকাল দশটায় শুরু হয়ে কর্মশালা চলে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। মূলত সৃজনশীল লেখার তিনটি মাধ্যম যেমন-বই, ব্লগ ও সংবাদপত্র নিয়ে কর্মশালায় আলোচনা হয়।

 

কর্মশালার শুরুতেই লেখক ও চিত্রনির্মাতা ওয়াসিম আতিক কিশোর লেখালেখি বিষয়ক মডেলের একটি কাঠামো উপস্থান করেন। এতে দেখানো হয় কীভাবে একজন লেখক প্রথমে একটি ধারণা ভাবনায় আনেন এবং পরবর্তীতে লেখার প্রক্রিয়ায় যুক্ত হন। তিনি উদাহরণের মাধ্যমে প্রক্রিয়াটির বিভিন্ন দিকও কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের সামনে তুলে ধরেন। তার পরের আলোচক ছিলেন সাংবাদিক ফজলুল বারী যিনি সিডনি থেকে স্কাইপ-এর মাধ্যমে তার বক্তব্য উপস্থাপন ধরেন। তিনি মূলত সংবাদপত্রে লেখালেখি বিষয়ে তার নানান অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেন এবং অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্নের উত্তর দেন। বাংলা গল্প, এর বিবর্তন এবং সমসাময়িক গল্প ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন গল্পকার মোয়াজ্জেম আজিম। তিনি গল্পের গঠন শৈলী নিয়েও আলোচনা করেন। বিখ্যাত বাঙালি লেখকদের গল্পসহ নিজের লেখা গল্পের নানা উদাহরণ উপস্থাপনের মাধ্যমে তিনি তার বক্তব্য তুলে ধরেন।

আধা ঘন্টার মধ্যাহ্ন বিরতির পর ব্লগ নিয়ে আলোচনা করেন ব্লগার তারেক নুরুল হাসান। তিনি ব্লগের ইতিহাস, এর বিবর্তন, সমাজে ব্লগের অবদান ও ব্লগ লেখার নানা কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। কয়েকটি ব্লগে প্রকাশিত তার লেখা ও কার্টুন তিনি অংশগ্রহণকারীদের সামনে উপস্থাপন করেন। আলোচনার শেষ পর্যায়ে বাংলাদেশে ব্লগ নিয়ে অপপ্রচার বিষয়ক নানা প্রশ্নেরও জবাব দেন তিনি। কর্মশালার সর্বশেষ আলোচক ছিলেন সাংবাদিক সাইফুল আমিন। তিনি সংবাদপত্রে লেখালেখির বিভিন্নদিক নিয়ে আলোচনা করেন। ফিচার ও রিপোর্টিং-এর মধ্যকার পার্থক্য তিনি অংশগ্রহণকারীদের বুঝিয়ে বলেন। খবর ও ফিচারের কাঠামো কেমন হতে হয় তা উপস্থাপনের মধ্যদিয়ে তিনি তার আলোচনা শেষ করেন।

আহমেদ শরীফ শুভ ও কর্মশালার সমন্বয়ক নাজমুল হাসান আলোচক ও অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানানোর মধ্যমে কর্মশালার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

লেখক : অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী